পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাজপুর। VOD এখানে যাত্রা মহোৎসব হয়। এগারনালা পুরাতন হিন্দুদিগের অপর একটী কীৰ্ত্তি। পুরীর নিকটে রাজবত্মে আঠার নালা। এখানে এগারটা নালা খিলানকরা জল প্ৰণালী। কালস্রোত নালা সকলের বিশেষ ক্ষতি করিতে পারে নাই। শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য শিষ্য ও সেবকগণের নিকট অদৃশ্য হইয়া নিজের মনে একাকী যাজপুরে মন্দির ও দেবমূৰ্ত্তিসমূহ পরিদর্শন করিয়াছিলেন। । de 'वधाम तच भगवान् नगरों निरीक्ष्य V भूतेशलिङ्गमवलीक्ष्य मद्दानुभावः । वाराणसोमिव सदाशिवराजधानौम् यत्र त्रिखोचनसुखा: शिवलिङ्गकोटि; ।' - हनुरारि । যে যাজপুর নগরে “ত্ৰিলোচন” প্ৰভৃতি কোটি সংখ্যক শিবলিঙ্গ বিরাজমান যে পুরী ভগবান ভবানীপতির চিরাধুষিত বারাণসীর তুল্য, মহানুভাব শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য সেই নগরীর মনোহর দৃশ্যে মুগ্ধ হইয়া চতুর্দিক ভ্ৰমণ করিয়াছিলেন এবং ভ্রমণকালে “ভূতেশ লিঙ্গ” দর্শন করিয়াছিলেন। বাজপুর এখন সবডিভিজন এবং এখানে মুন্সেফাও আছে। কিন্তু যাজপুরের অবস্থা ক্ৰমশঃ মন্দ হওয়ার সম্ভাবনা। রেলওয়ে বিস্তারের পূৰ্ব্বে । পুরীর তীর্থযাত্রীদিগকে যাজপুর হইয়া যাইতে হইত। কিন্তু এখন যাজপুর যাজপুর রোড রেলওয়ে ষ্টেশন হইতে প্ৰায় ৮ ক্রোশ দূরে। পুরীর যাত্রীগণ কেহই সহজে যাজপুরে যান না। যাতায়াতেরও যথেষ্ট কষ্ট। যাজপুরের পাণ্ডাদিগের বৃত্তির বিশেষ হ্রাস হইয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে যাজপুরের ঐশ্বৰ্য্যেরও হ্রাস হইবে। হয়ত কিছুকাল পরে মুসলমানগণ যাস্থা নষ্ট করেন নাই, সময়শ্রোত তুহার লোপ করিবে। ভবিষ্যতে গবৰ্ণমেণ্টের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাহায্য ব্যতীত যাজপুরের আর্য্যকীৰ্ত্তি রক্ষা করা অসম্ভব হইবে।