পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর। ভুবনেশ্বরের মন্দিরের ন্যায় অপূর্ব দেবমন্দির অতি বিরল। কেশরী-রাজবংশ একাম্রকাননে রাজধানী সংস্থাপন করেন ; তঁহায় শৈব ছিলেন এবং এরূপ বারাণসী সদৃশ পবিত্র ভূমিই শৈব-রাজদিগের ধৰ্ম্মরাজধানীর উপযুক্ত স্থান। একাম্রকাননকে প্রকৃত শিবক্ষেত্ৰ করিবার নিমিত্ত তাহারা কোটি বা উন-কোটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করিয়াছিলেন। “वसन्ति थवेश्वरलिङ्गकोब्यौ । विश्वेश्वराद्याय सुपुण्यतीर्था:।”-हनुरारि । “যেস্থানে বিশ্বেশ্বর প্রমুখ কোটি লিঙ্গ বাস করিতেন এবং যেস্থান বহু পুণ্যতীর্থের সমাবেশ ভূমি।” যযাতি-কেশরী একাম্রকাননে রাজধানী স্থাপন করিয়া ত্ৰিভুবনেশ্বরের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইতে আরম্ভ করেন। এরূপ বিশাল, উন্নত ও কারুকাৰ্যখচিত মন্দির অল্পদিনে নিৰ্ম্মিত হওয়া অসম্ভব। তাহার পরবর্তী রাজা সুৰ্য্যকেশরী ও অনন্ত-কেশরীর সময়েও নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য চলিতে থাকে। অবশেষে যযাতি-কেশরীর প্রপৌত্র ললাটেন্দু কেশরী ৬৬৭ খৃঃ অব্দে মন্দির। নিৰ্ম্মাণ শেষ করিতে সমর্থ হন। ‘‘गजाष्टषुमितॆ व्ञाते शकाब्द' छत्तिवाससः । प्रासादमकरोत् राजा ललाटेन्दुश्व केशरौं ।'-एकाम्रपुराण রাজা ললাটেন্দু কেশরী পঞ্চশতাষ্টিশীতি (৫৮৮) শকাব্দে কৃত্তিবাসের এই প্রাসাদ নির্মাণ করিয়াছিলেন। ললাটেন্দু-কেশরী ৬২৩ হইতে ৬৭৭ খৃঃ অব্দ পৰ্যন্ত উৎকলে রাজত্ব, করেন। সম্ভবতঃ ভুবনেশ্বরের মন্দিরের নিৰ্ম্মাণের পর হইতেই একাম্রকাননের সাধারণ নাম ভুবনেশ্বর হইয়াছিল। অনতিপরেই উৎকলের রাজধানী অন্যত্র নীত হইয়াছিল। একাম্রকানন পুণ্যক্ষেত্র হইলেও, ইহা সসৈনিক রাজধানীর উপযুক্ত নহে। নিকটে