পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতারের মহিমা Y. ৰহিব্রঙ্গে প্ৰকাশ হবার পূর্বেই পণ্ডিতজী ফের বক্তৃতা হুরু করে? দিলেন-“শাস্ত্ৰে ষে বলে অবতার পুরুষেরা আত্মভোলা, গোপালদা’র কথা শুনে সে-সম্বন্ধে আজ আমার সাৰ সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আহা! দেখি একবার তামাসা ! বুদ্ধদেব নিজেই সংসারের আধিব্যাধির দাওয়াই খুজতে খুঁজতে হয়রাণ হয়েছিলেন। তার নিজের দাতের যে এত গুণ তা” যদি জানতেন। ত একটা কেন, বত্ৰিশটাই উপড়ে ফেলে গোপালদাকে বখাসিস দিয়ে যেতেন। বৌদিদিকে আর তা’হলে ঢোলকের ম৩ মাদুলি ব’য়ে বেড়াতে হোতো না।” বক্তৃতার ঝাপটা লেগে চ’টা মাঝ থেকে ঠাণ্ড হয়ে যায় দেখে আমিই সেটার সদ্ব্যবহার করে” নিজেকে একটু গরম করে” নিলুম। কেননা দেখলুম যে, এই শনিবারের বারবেলায় পণ্ডিতজীৰ জিহুৱাখানি বেশ একটু বিষিয়েছে, কাউকে-না-কাউকে না। চুবলে তিনি ছাড়বেন না।” রাগে গোপালদার খামবৰ্ণ মুখখানি একেবারে অন্ধকার বর্ণ হয়ে দাঁড়াল। তক্তাপোষে একটা বিরাট চাপড় মেয়ে তিনি বজেন--”কি সর্বনেশে কথা ! আমি দেখে এলাম বুদ্ধদেবের ঈাত, আর তুমি না বলেই হবে! অবতার পুরুষদের তুমি ঠাওরেছ कि ? ভীমেৰু মহিঁর্ম যুগযুগান্তর ধরে থাকে ৷” পণ্ডিত হৃশীকেশ বক্তৃতার পর গলাটা একটু ভিজিয়ে নেবার জন্তে এতক্ষণ আর এক পেয়ালা চা ঢাল ছিলেন। এক চুমুক খেয়ে জিহাটা বেশ একটু শানিয়ে নিয়ে বললেন- “সে কথা