পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰিক নেশা 2令》 সময় রাইৰিলেস তার ট্যারা চোখটি আকাশপানে তুলে জিজ্ঞেস कङ्ग्रहण-“श्रखिठऔ-” পণ্ডিতজী বিরক্ত হ’য়ে বললেন-"এইমাত্র তোমাদের স্বরাজ” দিয়ে দিলুম, আবার কি চাই ?” রাইয়ের ট্যারা চোখটি ঘুরে’ এসে পণ্ডিতজীর নাকের কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। সে টোক গিলে বললে-“স্বরাজের রাস্তা আপনি ৰাৎল্যালেন বটে। কিন্তু সংসারের সব জিনিষের মত এ স্বরাজও ক্ষণভঙ্গুর। এতে কি আর মানুষের দুঃখ ঘুচাৰে ? এতদিন শুনে।’ আসছিলুম যে মানুষ নাকি শীগগির মনুষত্ব থেকে দেবত্বতে প্রেমোশন পাবে, কিন্তু এখন শুনচি তার জন্যে তপস্যা চাই। নাককান বুজে তপস্যা-টপস্যা আমার ধাতে বড় একটা সয় না। চট্ট করে” অমরত্ব লাভের একটা সোজা উপায় কিছু করতে পারেন না ? পণ্ডিতজী তার দশনপংক্তি ঈষৎ বিকশিত করে’ বললেন--- “ওহে ! তুমি স্বারাজ্য সিদ্ধির কথা বলছে, তার জন্যে আর ভাবনা কি ? ও ত স্বরাজেরই মাসতুতো ভাই। আফিমের সঙ্গে শুধু পেয়ারা পাতা মিশালে পাওয়া যায় স্বরাজ ; আর তাতে দু-চার ফোটা গোলাপ জল ফেলে দিলে যা গড়ে ওঠে তারই নাম স্বরাজ্য। বিশ্বাস না হয়ু, দেখে এসো আমাদের ভোগকুণ্ডুর উৎসবানন্দ বাবােক্সর আড়ায়। বাবাজী আমার এমনি এক পেটেণ্ট মেশিন বসিয়েছেন যে একটান গোলাপী গুলি টেনে ঐ কলের মধ্যে শুয়ে পড়লেই-তিন রাত্তিরের মধ্যে তুমি চতুভূজ হ’য়ে যেতে বাধ্য। মানুষকে মানুষ বানাতেই কত কত মহাপুরুষের