পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিরিচরণের ছুচো সেদিন সকালবেলা চা খাবার পর পণ্ডিতজীর একটু খোসমেজাজ দেখে একবার এগিয়ে দুবার পিছিয়ে, শেষে একটু গলা খেকারি দিয়ে দুঃসাহসে ভর করে জিজ্ঞেস করলে-আচ্ছা পণ্ডিতজী, যদি রাগ না করেন, তা একটা কথা জিজ্ঞাসা করি।--আপনি শুরু ঠাকুরদের পিছনে অত লেগেছেন কেন ? আমি আরও এক কাপ চ ঢালছি দেখে পণ্ডিতজীর তালতোবাড়া মুখখানিতে একটু হাসির আভাষ ফুটে উঠল। তিনি বললেন-রাগ কেন করুব ভাই ; রাগ আমার শরীরে নেই বললেই হয় । যা দেখতে পাও। ওটা রাগের আকার, ওতে মানসিক বিকারের গন্ধমাত্র নেই। দুর্বসা ঋষি মরার সময় আমার প্র-পর-অপ-সম-নি-পিতামহকে যে আশীৰ্ব্বাদ করে। গিছলেন, তারই যা-কিছু ছিটে-ফোটা পড়ে আছে। ওতে ভয় পাবার কিছু নেই। চাম্বের কাপটা কোলের কাছে টেনে মিন্ত্রে খুব আদরে-ভরা একটা চুমুক দিয়ে পণ্ডিতজী বলতে লাগলেন-দেখ এই গুরু গিরির কথা যদি জিজ্ঞেস করলে ত ব্যাপারটা গোড়া থেকেই বলি ।