পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিরিচরণের ছুচে ar জান ত, ডাক্তারেরা একটা জন্তু জানোয়ারের এক আধখানা হাড়ের টুকরো পেলেই তা দেখে বলে দিতে পারেন যে জন্তুটা ক” হাত লম্বা, ক' হাত চওড়া, তার কাঁটা ঠ্যাং, সে কি খায় ইত্যাদি আমি ও তেমনি অনেককেলে ওস্তাদ। কিনা তাই কোন একটা সমাজের আধ-টুকরা অনুষ্ঠান দেখলেই তাদের চাষা-ভুষো থেকে আরম্ভ করে রাজারাজরার পর্য্যন্ত হাড়ির খপর বলে দিতে পারি। ঐ যে সেদিন দেখলুম। গঙ্গার ধারে নেড়া। বটগাছের তলায় জটাজুটওয়ালা বাবাজীটি ছাই মেখে বসে’ বসে’ গাজায় দম মারছেন আর গুপে বাগদীর ছেলে থেকে আরম্ভ করে” পেন্সেন-প্ৰাপ্ত সব ডেপুটী পৰ্য্যন্ত মাদুলী ভরে’ ভরে তার পায়ের ধুলো মাথায় ঠেকিয়ে নিয়ে যাচ্চে-এই থেকে যদি বল, ত আমি এদেশের সমাজতত্ত্ব, ভগবৎতত্ত্ব, রাজতত্ত্ব সব নিখুঁত করে তোমার সামনে কষে দিতে পারি।” পণ্ডিতজীর কথা শুনতে শুনতে গোপালদাদার ই-টা ক্ৰমে আকৰ্ণ বিস্তৃত হবার যোগাড় হচ্ছে দেখে পণ্ডিতজী চায়ের কাপট তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বল্পেন-“গলাটা একটু ভিজিয়ে নাও ভায়া ; কাণে শুনে কথাগুলো বোঝবার সুবিধে না হয় মুখে দিয়ে শোনা ছাড়া আর উপায় কি ? তা, মুখ দিয়েই শোন ; আর একটু চিবিয়ে ’হলে নিতান্ত গুরূপাক না”ও হতে পারে। গোপাল দা নিৰ্ব্বিবাদে চাটুকু গিলে ফেলে পণ্ডিতজীর মুখের দিকে চেয়ে বললেন-“তার পর ?” -“তারপর আর কি ! গুপে বাগদীর ছেলেটাৰুে হাসতে