পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশী সেপাই আমাকে ই করে” তার মুখের দিকে চেয়ে থাকতে দেখে “পণ্ডিতজী বললেন-"এতে মাথা-ঘামাবার তো কিছু নেই। এই জ’ বছর আগে ত্ৰিবেণীতে গঙ্গাস্নান করতে গিয়ে দেখি এক বাবাজী একটী নোড়াতে সিদূর মাখিয়ে অশথতলায় বসে” আছেন। তার পরের বৎসর গিয়ে দেখি সেখানে বেশ একখানি চালাঘায় উঠেছে ; নোড়াটি একখানি চৌকির উপর বসেছেন, আর মেয়েরা গঙ্গাত্মান করে” পুণ্যসঞ্চয় করে বাড়ী ফেব্রুবার সময় নোড়াটিকে এক এক পয়সা প্ৰণামী দিয়ে পরীকালের ব্যবস্থা করছেন । এবারে যদি যাই ত নিশ্চয় দেখতে পাব যে, চালাঘরখানি কোটা হ’য়ে গেছে ; আর নোড়ারাম বাবাজী রূপার সিংহাসনে বসে’ মুদুমন্দ হাস্য করে।” বন্ধ্যাদের বন্ধ্যাত্বি ঘোচাবার দাওয়াই বাৎলাচ্ছেন। বিনা মুলধনে এমন খাটি স্বদেশী ব্যৰসা থাকতে তোমরা কেন যে ভেবে মর, তা’ত আমি বুঝতে পারি। নে ! এই একটা সোজা হিসেব করে” দেখি না, থআমাদের দেশের যত রকম রোগ তত রকম দেবতা । জ্বরের জন্তে জরাসুর আছেন, সাপে কামড়ােনর জন্যে মা মনসা আছেন, বসন্তের জন্যে মুখে ডাইমন কাটা শীতলা বুড়ি আছেন, ছেলেদের মাথা খাবার জন্তে বাৰা পঞ্চানন্দ ওরফে পেচো আছেন, কলেরায় জন্যে মা ওলাবিবিরও আমদানী জুয়েছে-বাকি আছে শুধু ইনফ্লয়েজা আর প্লেগ। আজকাল ইনফুলুয়েঞ্জার যে রকম ধূম তাতে একটা কাঠের বিতিকিচ্ছি রকমের মূৰ্ত্তি গড়িয়ে তারমুখে খানিকটা তেল, কালি আর সি দূর মাখিয়ে নাকে গোটা দুই পোেটা ঝুলিয়ে গঙ্গার ধারে গিয়ে ৰসতে পাের, তা হলে দু মাসের মধ্যে যদি তোমার দোতলা বাড়ী s