পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Myr উনপঞ্চাশী সাত্বিক, তাতে আর কোন সন্দেহই নেই। সুতরাং মারামারি রক্তারক্তি প্ৰভৃতি আহ্বরিক ব্যাপারগুলোর আলোচনা আমাদের মধ্যে যত কম হয় ততই ভাল। আমরা যে অনুরাবৃন্দের সঙ্গে সহযোগিতা বর্জন করতে যাচ্চি, এতে যেন আমাদের মনে বিদ্বেষ বুদ্ধির ছিটে ফোটাও না আসে। আমি যে এতকাল চন্দ্ৰায়ন ব্রত করে” তপঃশক্তি সংগ্ৰহ করেছি। তার ফলে অসুরদের প্রেমের বন্যায়। ভাসিয়ে দেব ; বিনা রক্তপাতে কাৰ্য্যোদ্ধার হবে ।” চটপট করতালিধ্বনির মধ্যে চন্দ্ৰদেব আসন গ্ৰহণ করতেই শ্ৰীমান কাৰ্ত্তিকেয় নবীন গোফে চাড়া দিতে দিতে বললেন* প্রেমের বন্যা-টন্ত যা শোনা গেল তা যে অতি উপাদেয় জিনিষ তাতে আমার সন্দেহ মাত্র নেই; কিন্তু আপনাদের এই প্রেমের বন্যা আসবার আগে অশ্রচুর বন্যায় স্বৰ্গরাজ্য না ভেসে যার-তার ব্যবস্থাও যেন করা হয়। অসুরদের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আমার একটু আলাপ পরিচয় যে আছে, তা’ ত আপনারা সকলেই জানেন । তারকাসুরকে যখন প্ৰেম শেখাবার দরকার হয়েছিল, তখন তা চন্দ্ৰদেব অমৃতভাণ্ড ছেড়ে উঠতে চান নি-আমাকেই সে কাজটা করতে হয়েছিল। আমি যে উপায়ে তা করেছিলুম। সেটা যে ঠিক কোপনি এটে নামাৰুলী গায়ে দিয়ে আর চরণামৃত খেয়ে নয়, তৃা, শ্লেখ হয়। আর বুঝিয়ে বল'র দরকার নেই! আপনাদের যে রকম ব্যাপার দেখছি, তাতে দেব-সেনাপতির কাজ যে আমার দ্বারা চলকে তুতি মনে হয় না । লোটা কম্বল নিয়ে এ বয়সে ময়ুর চেপে কীৰ্ত্তন করে” বেড়ান। আমার পোষাবে না।”