পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রকমারি স্বরাজ yk ভারতের এই তেত্ৰিশ কোটী (অপ-) দেবতারা সবাই নিজের নিজের অন্তরে যদি এক-একটি স্বরাজ গড়ে” ফেলেন তখন , ই তেত্ৰিশ কোটী স্বরাজের ঠোকাঠুকিতে একটি স্বরাজও টিকিবে কি না সন্দেহ । শেষে খুচরো খুচরো স্বরাজের ঠেলা সামলাবার জন্যে রুশিয়া স্ব-রাজ না আমদানি করতে হয়.। কে কার কাছে ঘাড় নোয়াবে বল,-ইন্দ্ৰ, চন্দ্ৰ, বায়ু, বরুণ, কেউ ত কারু চেয়ে কম নয়। আমরা এক-একটি নোড়া নাই, এক-একটি শালগ্ৰাম! আমি মাথা চুলকুতে চুলকুতে ৰল, লুম-“তা, পণ্ডিতজী গোড়ায় আমন একটু আধটু গলদ হয়েই থাকে। দেশটা যখন নিজেদের হাতে এসে পড়বে, তখন বাকি সৰটা ঠিক ঠিক গড়ে নেওয়া যাবে।” পণ্ডিতজী একটু হেসে বলেন-“অৰ্থাৎ আগে রাজটা গড়ে নেওয়া যাক তারপর “স্ব’টা তার সঙ্গে জুড়ে দিলেই চলবে ; এই এই না ? খুব বুদ্ধিমানের কথা ; কিন্তু গড়ে কে ? কেউ কলম, কেউ মৃদঙ্গ, কেউ লাঠি, আর কেউ তেলের বাটি নিয়ে হাজির হয়েছেন। কার অন্তরে যে কি রকম রাজ্যটি আছে তা ত বোঝবার জো নেই। সবাই বলছে-“খুজি খুজি নারি, যে পায় তারি।” বক্তৃতা হাওয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্চে, আয় “স্ব” টাকে খুজে না পেলে কোন রাজই গড়াছ না। ८०ाात्राङ झरी স্পর্কনেড়ে বললেন- “অতি গভীর তত্ত্ব ৰুবিনে ; তবে এটা ঠিক যে দেশের সবাই এখন নিজের নিজের স্বাৰ্থ বুঝতে পেরেছে। তা থেকেই একটা কিছু গড়ে উঠতে পারে ; কেননা সেইটাই তাদের “স্ব” ।