পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার মনে আলে—কেমন একটা মধুর, উদাস ভাব নিয়ে ওরা আসে। (তারপর কত পথ চলেচি, কখনও কণ্টকাকীর্ণ আরণ্যপথ বেয়ে, কখনও রৌদ্রদগ্ধ মরুবালুর বুক চিরে, কখনও কোকিল-কুঞ্জিত পুষ্পমুরভিত কুঞ্জবনের মধ্যে দিয়ে, চলেচি.চলেচি, কত সঙ্গী সার্থীর হাসি-অশ্রুভরা নিবেদন আমার মনের মধ্যে সঞ্চিত হোল, কাউকে পেলাম চিরজীপনের মত, কাউকে হারালুম দুদিনেই কিন্তু অভিজ্ঞতার ঐশ্বৰ্য্যই দেখলুম জীবনের সব চেয়ে বড় ঐশ্বৰ্য্য। মুখ দুঃখ দু'দিনের—তাদের স্মৃতি চিরদিনের, তারাই থাকে। তারাই গভীরতার ও সার্থকতার পাথেয় এনে দেয় ੋਕ এই শুক্নো বাশের খোলা বিছানো পার্থী-ডাকা, রাঙা-রোদমাখানো বাশবনের ছায়ায় বসে সেই কথাই মনে হোল । সেই বাশের শুক্লো খোলা ! মামার বাড়ী থেকে প্রথম যেদিন এ গ্রামে আসি তখন দুপুরে আমাদের বাড়ীর দরজার সামনে ধুলোর ওপরে যে বাশের খোলা নিয়ে রাজলক্ষ্মী ও পটেশ্বরীকে খেলা করতে দেখেছিলুম ত্রিশ বছর আগে ! তাজ কোথায় তারা ? ইছামতীর ওপর দিয়ে নেীকে বেয়ে চলেচি। বেল গিয়েচে । দু’ধারের অপূৰ্ব্ব বনঝোপে রাঙা রোদ পড়েচে । কত কি ফুলের সুগন্ধ। কিন্তু চালতে-পোতার ডানধারে যে সাই বাবলার নিভৃত পাখী-ডাক বন ছিল, মণি গায়ের নতুন কপিলীর এসে সব নষ্ট করে কেটে পুড়িয়ে ফেলে পটল করেচে। আমার যে কি কষ্ট হোল । পুত্র শোকের মত কষ্ট ! কত তিৎপল্লীর ফুল ফুটে থাকতে, বন কলমীর বেগুনী ফুল ফুটে থাকতো—আর বছরও দেখেচি। কত কচি কচি জলজ ঘাসের বন, তার মাথায় নীল ফুল-–এবার ডান ধার এরা সাফ করে ফেলচে । আমার নৌকোর মাঝি সীতানাথ বল্‌চে–“দ ঠাকুর, বড় পটল হবে, চারখানা পটলে একখান। গেরস্তের তরকারী হবে। আমার জ্ঞানে কখনো এখানে কেউ আবাদ করেনি।” কুলঝুটির ফুল আর বন সিমের ফুল এবার অজস্র। এই দস্যি কাপালীর, së Destroyers of Beauty, C#foi cott ază cự জুটুল ইছামতীর পাড়ের রূপ এর কি নিষ্ঠুর ভাবে নষ্ট করে ফেল্চে । রোদ একেবারে সি দুরে হয়ে বাশঝাড়ের মাথার উঠেচে। অপরাহের বাতাস নানা অজ্ঞাত বনফুলের মিষ্ট গন্ধে ভারাক্রান্ত। নদীপথে বিকেলে