পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্য্যস্ত। আমার মেস থেকে বেরিয়ে নীরদ চৌধুরীর বাড়ীতে চ খেয়ে পশুপতি বাবুর বাড়ী গিয়ে পেনেটর বাগান বাড়ী যাবার কথা বলি। বন্ধুদের নতুন বাসায় যাই, তার আগে একবার নতুন পত্রিকার আপিলেও যাই । বেশী আডডা দিলে একটা অবসাদ আসে-শারীরিক ও মানসিক, যদিও আমি তা আজ অনুভব করিনি, তবুও আমার মনে হয় এতে কোনো আনন্দ নেই। তবে সপ্তাহে একদিন এমন বেড়ানো যেতে পারে যদি অন্ত সব ক’টা দিন নিজের কাজ করা যায়। লেখাপড়া সম্বন্ধেও দিনের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর ও বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়া খুব খারাপ। এক বিষয়ে মনোনিবেশ অভ্যাস করতে হয়, এবং যে এক বিষয় মনোনিবেশ করে, সে হয়তে আরও পাঁচটা জিনিষ থেকে বঞ্চিত আছে, কিন্তু সে সৃষ্টি করতে পারে। অনেকদিন পরে পানিতর গেলুম। রাত্রে ইটগুী ঘাটে নেমে একজন লোক পাওয়া গেল। সে আবার ইটও বাজারের ডাক্তার, হাটের ভিড় ঠেলে রাত্রে পানিতর গিয়ে পৌছাই। উপেন বাবুর বাড়ী বেড়াতে গেলুম, বৃদ্ধ শয্যা আশ্রয় করেছেন। পুটর সঙ্গে দেখা করলুম বাড়ীর মধ্যে গিয়ে, ওরা জল খাবার খাওয়ালে। নরেনের বাড়ীতেও আবার খাবার খেলুম তারপর পানিতরের ওপরের ঘরে (দোতলার উপরের ঘরে) রাত্রে শুলুম। : কোণে সেই খাটখানা পাতা আছে, প্রথম পানিতরে গিয়ে ঐ খাটখানাতে আমি শুয়েছিলুম মনে আছে। ঠিক সেই পুরোনো জায়গাতে খাটখানা এখনও পাতা। রাত্রে কত কথা মনে পড়ল। আজ কত দিনের কথা যেন সে সব। জাঙ্গিপাড়ার দিনের কথা, সেই অন্ধকারময় দুঃখের দিন। তখন কি ছেলেমানুষ ছিলুম আর কি নিৰ্ব্বোধই ছিলুম তাই এখন ভাবি ৷ তখন বি এ পাশ করে কি না জানি ভাবতাম নিজেকে। আমি খেয়া পার হয়ে বাসে উঠে আসূচি, শ্বশুর মহাশয়ের সঙ্গে পথে দেখা । র্তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে আবার বসিরহাট এলুম ওঁদের নতুন বাসায় । দিদি ও পাচী ওখানে আছেন। দিদিকে দেখলে চেনা যায় না