পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে মেয়েট আমার পাত করে বসিয়ে দিয়েছিল সে কোথায় চলে গেল। আর একজন আমায় পরিবেশন করলে। খিচুড়ী, চচ্চড়ি, আলুর দম, কপির তরকারী, বেগুন ভাজা, চাটুনি, পায়েস, দই, মুড়কী ও রসগোল্লা। তা খুব দিলে, পাতে ঘি দিলে। এটা নেবে, ওটা নেবে জিগ্যেসূ করে খাওয়ালে। কেমন যত্ন করলে যেন বাড়ীর ছেলের মত, অথচ আমাকে তারা জীবনে এই প্রথম দেখলে। মেয়েদের এই একটা গুণ, খাওয়াতে মাখাতে যত্ন করতে ওদের জুড়ি মেলে না। খাওয়া শেষ হোল, আর একট মেয়ে আবার সাজ পান দিলে। এমন মচ্ছবের খাওয়ায় যেথাক্স রবাহূত অনাহূত কত আসচে যাচ্ছে তার ঠিকানা নেই, এখানে কে আবার খাওয়ার পরে পান দেয় ! এ আমি এই প্রথম দেখলুম। - দেখে কষ্ট হোল আমি যখন খাওয়া শেষ করে বাইরে এলুম, তখন সেই অল্প বয়সের বধূট রোয়াকে সামনে পাতা পেতে বসে আছে—তখনও তাদের কেউ খেতে দেয় নি। এদের জিনিসপত্র বেশী কিন্তু লোক কম। খাওয়ার সময়ে পরিবেশনকারিনী মেয়েরা বলাবলি কছিল—আর পারিনে বাপু । সকাল থেকে খাটুচি, আর রাত বারোটা পৰ্য্যন্ত কত খাটি ? আসচে বছর আর এখানে আসা চলবে না দেখচি | ওখান থেকে বার হয়ে একটা বাশবনের মধ্যের পথ ধরে অনেকট হেঁটে গেলুম, বেলা পড়ে এসেচে, বাশবনে বেশ ঘন ছায়া, এক জায়গায় সাতটা ভাঙা শিব মন্দির সারি সারি, অনেকগুলো সিমুল গাছ। ফুলে ফুলে রাঙা বড় মাঠে বসে খানিকটা বিশ্রাম করলুম—তারপর এসে ট্রাম ধরে চৌরঙ্গির মোড়ে নামলুম। সেন্টাল এভিনিউ দিয়ে হেঁটে সুধীর বাবুর দোকানে এসে ভাবলুম সরোজকে গল্পটা করবো, দেখি সরোজ বেরিয়ে গিয়েচে । কি একটা অবর্ণনীয় আনন্দ পেয়েছি আজ ! অথচ কেন যে সে ধরনের আনন্দ এল, এর কোনো কারণ খুজে পাইনে। নীরদ বাবুর বাড়ী যখন বসে আছি, তখনই এটা প্রথম অনুভব করলুম, কিন্তু তখনই পশুতি বস্তু ফোন করলেন এখুনি আমুন-ইউনিভার্সিটি ইন্‌ষ্টিটিউটে প্রমথ বিশীর নাটক হচ্ছে । নীরোদ যেতে পারলেন না আমি মিসেস •দাসগুপ্তকে নিয়ে