পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই দিন বিকেলের টেনে ফিরলুম কলকাতায়, ওপথে গাছপালার সৌন্দর্য্য তেমন নয় । একটী মেয়ে ট্রেনে কেমন গান করে শোনালে"। সন্ধ্যার সময় নীরদ বাবুর বাড়ীতে সাহিত্য সেবক সমিতির অধিবেশনে যেতে যেতে মির্জন অকল্যাণ্ড স্কোয়ারে বসে কি অপূৰ্ব আনন্দ পেলুম, দু একটা নক্ষত্রের দিকে চেয়ে। এ আমার অতি সুপরিচিত পুরাতন আনন্দ । ছেলেবেলা থেকে পেয়ে আসূচি এতে অবিপ্তি আশ্চর্য্যের কথা কিছু নেই। অনেকে আমার এ আনন্ট বোঝে না, কিন্তু তাতে কিই বা যায় আসে—আনন্দের উপলব্ধিটুকু ত আর মিথ্যে নয় । বাইরে কোথাও ভ্রমণের একটা পিপাসা আবার জেগে উঠেচে। ভাব চি আফ্রিকা যাবো, শস্থ আজ এসেছিল, সে বল্লে, তার কে একজন আত্মীয় ম্যাকিনন ম্যাকেঞ্জির আপিসে কাজ করে, তারই সাহায্যে যদি কিছু হয় দেখবে ও চেষ্টা করে। আজ সারাদিন স্কুলেও ওই কথাই ভেবেচি, বেশীদূর কোথাও যেতে চাইনে। কিন্তু জগতের খানিকট অন্তত: দেখতে চাই । সেদিন PEN Club-এ যে মধ্যাহ্ন ভোজ হ’ল বোটানিক্যাল গার্ডেনে— সেখানে অমিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ হোল । মেয়েট খুব বুদ্ধিমতী, অক্সফোর্ড থেকে এম, এ, পাশ করে এসেচে। পরের বৃহস্পতিবারে ইদের ছুটতে বাড়ী এলুম। আসার উদেশ্ব এই ফাগুনে বাংলার বনে, মাঠে অজস্র ঘেটুফুল ফোটে—অনেক ি ঘেটুকুলের মেলা দেখিনি, তাই দেখবো। তাই আজ সকালে এ ি ীর ও সাবডেপুটীর সঙ্গে মোটরে বেড়াতে গেলুম চৌবেড়ে । সেখানে ওদের ইউনিয়ন বোর্ডের এক কাজ ছিল, মিটিয়ে সবাই মিলে যাওয়া হোল vদীনবন্ধু মিত্রের বাড়ী। ভাঙা সেকেলে পুরোনো কোঠা, বট অশ্বর্থের গাছ গজিয়েচে-তার জন্মস্থান দেখলুম-দীনবন্ধু মিত্রের এক জ্ঞাতি ভাইপো বাড়ীর পিছনে একটা সজনে তলা দেখিয়ে বল্লেন-ঐ গাছতলায় তখনকার আমলে আঁতুড়ঘর ছিল—ওইখানে দীনবন্ধু কাকা জন্মেছিলেন। আমি ও মনোরঞ্জন বাবু সার্কেল অফিসার স্থানটাতে প্ৰণাম করলুম। তারপর বেটুকুলের বন দেখতে দেখতে মাঠে মাঠে অনেকগুলো চাষীদের গ্রাম ঘুরে