পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘোষপাড়ার দোলে বেড়াতে আসা সার্থক হোল মনে হচ্চে শুধু এই দৃশ্বট দেখবার সুযোগ পেলুম বলে। সেদিনের সেই খয়রামারির মাঠে শুকনে ডালের ওপর বসে থাকা ঘেটুবনের মধ্যে, আর আজকার কামারপুকুরের পাড়ের জঙ্গলে এই পূর্ণচন্দ্রের উন্নয়—এবারের দোলের ছুটার মধ্যে এই দুটাে ঘটনা জীবনের অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতার মধ্যে আসন পেতে পারে। তারপর মাসীমা ছাদে বলে চ করে দিলেন লুচি ভাজলেন, আমি কাছে বসে গন্ন করলুম। অনেকদিন পরে কথা তুল্লেন, আমি, গৌরী, মণি ও মালীম ছাদে বসে কত তাস খেলতুম। আমি তো ভুলেই গেছলুম, এতদিন পরে আবার সেকথা মনে এল। সুপ্রভার কথা জিজ্ঞেস করলেন। এরমধ্যে একদিন কর্জন পার্কে একটা গাছ হেলান দিয়ে বসে জনৈক জাপানী চোরের আত্মকাহিনী পড়ছিলুম। বইখানাতে আছে, সে নিজেকে ভয়ানক বদমাইস্ থেকে যীশুখৃষ্ট্রের বাণীর প্রভাবে কেমন করে হঠাৎ ভালো লোক হয়ে পড়ল। আমার ডাইনে একটা গাছে ফুটেচে চেরী ফুল, সামনে লাটসাহেবের বাড়ীর কম্পাউণ্ডের এক সারি দেওদার গাছে নতুন কচি পাতা গাজিয়েচে—সেদিন ভুলে গেলুন যে কলকাতায় বসে আছি—ট্রাম, বাস্ আসচে যাচ্চে সে যেন আমার চোখেই লাগে ন-আমি যেন বহুদূরে হিমালয়ের কোন অরণ্যে বলে আছি—সে গম্ভীর হিমারণ্যের নিস্তব্ধতা শুধু ভঙ্গ করচে তুস্কার নদীমুক্ত স্রোতোধারা আর দেওদারের শাখা প্রশাখার মধ্যে বায়ুর স্বমন। তারপরেই একদিন গেলুদ রাজপুরে। সন্ধ্যার সময় গিয়ে মাঠের র বসলুম, মাথার ওপরে এক আধটা নক্ষত্র উঠেচে, হু হু দক্ষিণ হাওয়া হচে, সামনে একটা বটগাছ, দুরবিলপ দিকচক্রবাল সন্ধ্যার অন্ধকারে অস্পষ্ট দেখাচ্চে। আমার মনে কেমন একটা আনন্দ হ’ল—তি শনিবারে শালি টেম্পলের ছবি দেখে যেমন আনন্দ পেয়েছিলুম, এ যেন তার চেয়েও বেশী— যদিও শালিকে আমার খুবই ভাল লাগে এবং ঐ ছোট্ট মেয়েটার ছবি থাকলেই আমি দেখি । - “To those who have some feeling that the natural world has beauty in it, I would say, cultivate this feeling and encourage it in every way you can. Consider the seasons,