পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেদিন কেটে ফেলে দিয়েচে, তাই নিয়ে অষ্ট্রেলিয়াতে ছৈ হৈ পড়ে গিয়েচে, ব্রিসবেনের টেলিগ্রামে প্রকাশ ( রয়টার, ৮ই মে, ১৯১৫, অমৃত বাজার পত্রিকাতে পড়লুম ) বাকী গাছ যা সব আছে, তার মধ্যে একটার বয়েল ১১০০০ হাজার বয়েস, বাকীগুলি ৩৪ হাজার বছরের শিশু । কাল স্কুলের ছুটী হবে। আজ ছেলেরা খুব খাওয়ালে। আমি নানা জায়গায় ঘুরে টরুকে সঙ্গে নিয়ে রমাপ্রসন্নদের বাড়ী গেলুম। কুমুমের সন্ধান করে তার ঠিকান পেলুন। টরুকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বছর পরে গিয়ে কুমুমের সঙ্গে দেখা করলুম। আমার ন বছর বয়সে কুমুম আমায় কত গল্প বলতে । এখন তার বয়স যাট-এর কম নয়—গরীব, লোকের ঝি। সে চেহারাই আর নেই। ওর সে চেহারা আমার মনে আছে। মানুষের চেহারার কি ভয়ানক পরিবর্তন হয় ! তপুর সহিত সেদিন দেখা হয়েচে, আজ দিন তিনেক আগে । তাকে দেখেছিলুম ছ’ বছরের ছেলে—এখন তার বয়েস ১৩১৪ বছর। এ বছরট যত পুরোনো আলাপী লোকের সঙ্গে দেখা হচ্ছে । আজ এ বছর গ্রীষ্মের ছুটির প্রথম দিন এখানকার । ৰঞ্জীতে কেউ নেই, পাড়া নির্জন। একমাত্ৰ পাচী ও ন’ দিদি আছে। বকুলতলায় দুপুরে অনেকক্ষণ বসে valia গল্পটি পড়ছিলুম। একটা দাড়শ সাপ সুপুদের নারকেল গাছটাতে উঠে পাখীর বাসায় পাখীর ছানা খুজচে । আর পার্থীগুলো তাকে ঠুকরে কি বিরক্তই করচে। গঙ্গাহরি, তুলসী, হাজু সবাই আমার কাছে এল। দুপুরের পরে একটু ঘুমিয়েচি, নির্জন মেঘমেছর অপরাহ্ল, বাশবনের দিকে গরু চরচে, মেজ খুড়ীমার বাড়ীর দিক থেকে মেজ খুড়ীমার গলার সুর পাওয়া যাচ্ছে। বাবার একটা শ্লোকের খানিকটা মনে এল ঘুমের ঘোরে। এত স্পষ্ট মনে এল যেন বাবার সঙ্গে বসে আমি কবিতা আবৃত্তি করচি বাল্যদিনের মত। কথাটি এই—নীচৈম্বতিরুচি: এই টুকরোটুকু যেন উদ্ভট শ্লোকে ছেলেবেলায় পড়েছিলুম। আমাদের ভিটের পিছনের বাশবাগানে গেলুম বেড়াতে ও আমগাছের ফল গুনতে। ওখান থেকে বেলেডাঙ্গার মাঠ। কুঠার মাঠের বাড়ীর ধারে বন কেটে-উড়িয়ে দিয়েচি