পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টুর্মিমুখর ৭৯ পরদিনই বিকেলে টরুদের বাড়ী গেলুম তামবাজারে, সেখান থেকে সন্ধ্যায় রঙমহলে বিধায়ক ভট্টাচার্য্যের নাটক দেখতে গেলুম কালের মঞ্জিরা বাজে ও অতি আধুনিক’। নাটক দুখানা কিছুই নয়, অতি বাজে, তবে গান ও Wariety show হিসেবে অনেকগুলো গুণী লোককে একত্র করেচে বটে— নাটকের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। হেমেন দ।’ এসে এক কোণে চুপ করে বসে আছেন। দেখা করে এলাম। সবাই মিলে এক সঙ্গে বসে খুব জমিয়ে আড়া দিতে দিতে থিয়েটার দেখা গেল। গত শুক্রবারে শ্রীরামপুরে দিদির মেয়ে প্রভার বিয়ে হোল । আমি প্রথমে গেলুম লীলাদিদের বাড়ী। লীলাদিদির শরীর প্রথমে খুবই খারাপ হয়েছিল। এখন কিছু সেরেচে। অমিয় কলেজ থেকে এল রমেশ কবিরাজকে সঙ্গে করে। ওখানে অল্পক্ষণ বসেই দিদির বাড়ী গেলুম। ওরা সকলে মিলে স্ত্রীআচারের সময়ে বরকে ঘিরে অালো নিয়ে প্রদক্ষিণ করলে । আমি ওদের সকলকে অনেকদিন পরে একজায়গায় দেখলুম বড় ভাল লাগছিল। রাত দশটার ট্রেণে কলকাতা এলুম। পরদিন শনিবার বনগা যাবে, ঠিক দুপুরবেলা থেকে ঝম্ ঝম্ বৃষ্টি শুরু হ’ল—অতি কষ্টে বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তো ট্রেণ ধরলুম। বৃষ্টিস্নাত ঘন সবুজ গাছপালা, ধানের ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে টেণ বন-গা গিয়ে পৌঁছুলো। খয়রামারিতে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেলুম। তার পরদিন সকাল থেকে কি বিশ্রী বাদলা । নদীর জলে ঘোলা এসেচে, ঘাস পর্য্যন্ত ডুবে গিয়েচে, এত জল বেড়েচে নদীতে। এখন তো খুবই ভাল, মুস্কিল বাধবে সেই কাত্তক মাসে যখন হাটু ভর কাদা হবে নদীর ধারের সর্বত্র । সোমবার বৈকালে চলে এলুম কলকাতায়। দিনটা পরিষ্কার ছিল, . নীল আকাশ, রৌদ্রও উঠেছে। মনে হেল ঐ প্রজাপতি দলের উড়ে বেড়ানোর দিকে চেয়ে চেয়ে সারাদিন যদি বসে থাকি, চমৎকার গল্পের প্লট মনে আনতে পারি। এই আলো ছায়ার খেলাতেই মনের ভাব নতুন ধরনের হয়-মাটর সঙ্গে, প্রস্ফুটিত ভায়োলেট্র রঙের বনকলমী ফুলের শোভা , বৃষ্টিধোয়া নীল আকাশের রূপে" - * আজ স্কুলের ছাদ থেকে দুপুরের চনমনে রোদে দর আকাশের দিকে'মাস