পাতা:ঋণ পরিশোধ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ל ) মহাঋণ । যদিও ঋণ প্রথা সচরাচর প্রায সৰ্ব্বত্রই প্রচলিত . হইযাছে, তথাপি এমন লোকও আছে, যাহারা কাহারও নিকট এক পযসার জন্যেও ঋণী নয় । ইহা খুব ভাল বলিতে হইবে , কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, মনুষ্যমাত্রেই ' আর এক প্র কণব ভযানক ঋণভারে ভারাক্রান্ত হইয আছে । আবার এই ঋণভাব প্রত্যহ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে । মনুষ্য নিজে ইহা হইতে কখনই মুক্তিলাভ কবিতে পারে না। পাঠক, এই মহাঋণের রিষ্য তুমি কি জান ? ■ স্বভাবত, সকলেই ঋণী । বিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই জ্ঞানী, সৎ ও সকল বস্তুর স্মৃষ্টিকৰ্ত্ত একমাত্র ঈশ্ববেব অস্তিত্ব স্বীকার কবেন । আমরা এই যে পৃথিবীতে বাস কবিতেছি, যে সূৰ্য্য ইহাতে কিবণ দিতেছে, এবং যে সকল বৃক্ষলতাদি ইহাতে উৎপন্ন হইতেছে, এই সকলই তিনি সৃষ্ট্রি করিযাছেন। পৃথিবীর অসংখ্য জীবজন্তুও উাহ কর্তৃক স্বস্ট হুইযাছে । তিনিই আমাদেব জীবনদাতা ও রক্ষাকৰ্ত্ত। তিনি যদি মুহুৰ্ত্তকাল আমাদের প্রতি দৃষ্টি না রাখেন, তবে আমবা সকলেই মবিয যাই । তিনি আমাদেব সকলেব পিতা ও রাজা । সৰ্ব্বাস্তঃকবণেব সহিত ঈশ্ববকে প্রেম ও উtহাব আজ্ঞাসকল পালন কৰাই ঈশ্বর সম্বন্ধে আমাদের কর্তব্য কৰ্ম্ম । তাহাব সকল আজ্ঞাই পবিত্র, ন্যায্য ও উত্তম । ঈশ্বর বিষয়ে আমাদের এইরূপ কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম গুলি কি যুক্তিসঙ্গত নয ?