পাতা:ঋণ পরিশোধ.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( e ) কার্ষ্য সমাধা করে । সচরাচর দরিদ্র লোকে টাকা প্রতি অৰ্দ্ধ আনা অর্থাৎ শতকরা বার্ষিক ৩৬২ টাকার হিসাবে স্বদ দিয়া টাকা কৰ্জ করে। লোকেরা সচরাচর প্রথমে অলঙ্কায়াদি বন্ধক দিয়া টাকা লয় । কখন ২ প্রজাগণ গোমেষাদি এবং জমী পর্য্যন্ত বদ্ধক রাখে । একালে তাহারা ক্রমশঃ উত্তমণের অর্থাৎ মহাজনের ক্রীত দাসের ন্যায় হইয়া পড়ে। বিবাহকালীন ভয়ানক খরচের ভয়ে কোন ২ শ্রেণীর রাজপুক্তেরা কস্যাদিগকে সূতিকাগৃহে বধ করিত। ২ । ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখিবার পরিবর্তে অলঙ্কারাদি গঠন"। কেহ ২ বলিয়া থাকে যে, ভারতবর্ষ দরিদ্র , কিৰ্শ্ব প্রকৃতপক্ষে বলিতে গেলে, পৃথিবীতে উৎপন্ন সমস্ত স্বর্ণের চারি ভাগের এক ভাগ ও রৌপ্যের তিন ভাগের এক ভাগ ভারতবর্ষেই আসিতেছে । ১৮০১ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে বর্তমান সময় পর্য্যস্ত প্রতিবৎসর চারি শত পঞ্চাশ কোটি পরিমাণ টাকার স্বর্ণ ও রৌপ্য এই দেশে আমদানী হইয়াছে। স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলঙ্কার প্রস্তুত করগার্থে এতদ্দেশে চারি লক্ষ স্বর্ণকার আছে। তাহাদের প্রত্যেকে মাসে ৬২ টাকা করিয়া উপার্জন করিলেও সকলে সম্বৎসরে লোকদের নিকট হইতে দুই কোটি উননকবই লক্ষ টাকা লইয়া থাকে । অলঙ্কার থাকিলে অর্থের বৃদ্ধি হয় না, বরং ব্যবহার করায় ক্রমশঃ ক্ষয় হইয়া যায়। অনেক সময়ে অপহৃতও হইতে পারে । কেবল গাত্রে অলঙ্কার থাকাতেই প্রতি বৎসৱ বহুসংখ্যক স্ত্রীলোক ও বালক বালিকার প্রাণ যায় ।