পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৪)

সামগ্রী রহিয়াছে। কাহারও কাহারও মনে এরূপ সন্দেহ হইল যে হয়তো হরগৌরী প্রভৃতি হিন্দু দেবতা পূজার জন্য বিবাহ স্থলে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। একথা ডেপুটী কমিসনর সাহেবের নিকট তৎক্ষণাৎ জ্ঞাপন করাতে তিনি উহা অস্বীকার করিলেন এবং পণ্ডিতদিগের নিকট অনুসন্ধান করিয়া স্পষ্টরূপে বলিলেন যে ঐ সকল দ্রব্যের মধ্যে পূজার বস্তু কিছুই নাই এবং কোন হিন্দু দেবতা স্থাপন করা হয় নাই। তাঁহার এবং প্রধান পণ্ডিতের কথায় প্রতীতি হইল যে মণ্ডপে কিছুমাত্র পৌত্তলিকতা নাই, তবে স্থানীয় প্রাচীন প্রথা অনুসারে কতকগুলি মঙ্গলসূচক দ্রব্য সাজান হইয়াছে। যাহা হউক সাহেবের কথার উপর নির্ভর করিয়া কার্য্য আরম্ভ হইল। বাগ্দান, স্ত্রীআচার ও পরস্পরের সম্মতি প্রকাশের পর বর বিবাহমণ্ডপে উপস্থিত হইলে আচার্য্য মহাশয় উপস্থিত ব্রাহ্মদিগের সহিত মিলিত হইয়া সভাস্থলে ব্রহ্মোপাসনা করিলেন। তদনন্তর কন্যা সভাস্থ হইলে কেশব বাবু এবং তাঁহার ভ্রাতা, বরের পুরোহিত ও কন্যার পুরোহিত শ্রীযুক্ত গৌরগোবিন্দ রায় উপাধ্যায় বিবাহমণ্ডপে আসন গ্রহণ করিলেন। পৌত্তলিক দেবতার নাম পরিবর্জ্জন করিয়া প্রচলিত হিন্দু বিবাহের মন্ত্রাদি সংশোধন পূর্ব্বক পঠিত হইলে কন্যা অন্তঃপুরে চলিয়া গেলেন। পরে ব্রাহ্মরীতি অনুসারে প্রতিজ্ঞা, প্রার্থনা ও বরকন্যার প্রতি আচার্য্যের উপদেশ এই কয়েকটী অনুষ্ঠান স্বতন্ত্র স্থানে কতিপয় ব্রাহ্মের সম্মুখে সুসম্পন্ন হইল।”

 কন্যাপক্ষে কোনপ্রকার পৌত্তলিকতা থাকিবে না, এই