পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৫)

নিয়মে বিবাহ দিতে স্বীকৃত হওয়াতে কি বরপক্ষে পৌত্তলিকতচরণ করিবার অনুমতি দেওয়া হইল না? ইহার পর বরপক্ষ যে কিছু করিয়াছেন তাহাতে তাঁহাদের দোষ কি? যাঁহারা হিন্দু ধর্ম্মের কিছুমাত্র জানেন তাঁহারা কি জানেন না যে, দেব বিগ্রহের পরিবর্ত্তে ঘট ব্যবহৃত হইয়া থাকে? যে বাড়ীতে প্রতিমা নির্ম্মাণের সামর্থ হয় না তাহারা ঘটস্থাপন করিয়া পূজাকার্য্য সমাধা করিয়া থাকে। কে না বুঝিতে পারিতেছেন যে কেশব বাবু কোনপ্রকার দেবতার বিগ্রহ রাখিতে অস্বীকৃত হওয়াতে রাণীরা এই কৌশল অবলম্বন করিয়াছিলেন। হরগৌরী নামক যে পদার্থদ্বয় ছিল তাহা বস্ত্রাবৃত করিয়া রাখিবার কারণ এই দুঃখের বিষয় প্রচারক মহাশয়দ্বয় এই স্থলে দুইটী সত্য গোপন করিয়াছেন। (১) কেশব বাবু সম্প্রদান করিতে পাইলেন না। কৃষ্ণবিহারী বাবুকে সম্প্রদান করিতে হইল। এবং (২) ব্রাহ্মপক্ষের পুরোহিত মন্ত্র পড়াইতে পাইলেন না, উপবীতধারী পৌত্তলিক পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পড়ান হইল। এই দুইটী কথা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে কেশব বাবুর কার্য্যের এ দুইটী প্রধান দোষ; এই দুইটীতে তিনি পূর্ব্ব হইতে সম্মত হইয়াছিলেন। প্রমাণস্বরূপ পাঠকগণ ১৭ই ফেব্রুয়ারি দিবসের মিরারে কুচবিহারের বিবাহ নামক প্রস্তাবটী পাঠ করিয়া দেখিবেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই ইঁহারা মিরারে যাহা স্বীকার করিয়াছেন, এত বড় পত্রের মধ্যে তাহার উল্লেখ করিতেই বিস্মৃত হইলেন।

 ১০। অতঃপর প্রচারকদ্বয় এই বিবাহের আপত্তিকারী