পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২০)

তাঁহাকে উপহাস করিয়া উড়াইয়া দিয়া ছিলেন। ফল কথা এই পূর্ব্বে কন্যার বয়স লইয়া এত টানা টানি হয় নাই, বিবাহ বিধির আন্দোলন উপস্থিত হইলে এ সম্বন্ধে বিশেষ রূপ চিন্তা আরম্ভ হইল এবং কেশব বাবু তখন ১৬ বৎসর কন্যার বিবাহ কাল বলিয়া স্থির করিলেন। ঠিক এই যুক্তিতে ত বলা যায় যে ব্রাহ্ম সমাজে উপবীত পরিত্যাগের গোলযোগ উঠিবার পূর্ব্বে ও কেশব বাবু অনেক বার উপবীতধারী আচার্য্যের উপাসনাতে যোগ দিয়া ছিলেন সুতরাং উপবীত ধারণ পাপ নয় এবং কেশব বাবুর আদি সমাজ পরিত্যাগ অন্যায় হইয়াছে। আর কন্যা ঋতুমতী হইলেই তাহার বিবাহ কাল হইল ইহা কোন ডাক্তার বলেন নাই বরং ডাক্তার মহেন্দ্র লাল সরকার স্পষ্টাক্ষরে ইহার প্রতিবাদ করিয়াছেন।

 দ্বিতীয়তঃ, ইহারা দুজনে কন্যার প্রায়শ্চিত্ত সম্বন্ধে এই কথা বলিতেছেন। কিন্তু কেশব বাবুর প্রচারক দিগের মধ্যে এক জন শ্রীযুক্ত বাবু গিরিশচন্দ্র সেন, বঙ্গ বন্ধুতে ইহা অপেক্ষপ আরও কিছু অধিক স্বীকার করিয়াছেন। ইহাকে কি প্রায়শ্চিত্ত বলে না? আমি এরূপ মনে করি না যে কেশব বাবু ইহাতেও সম্মত ছিলেন। বরং ইহা মনে করি যে রাজমাতৃগণ অন্যায় পূর্ব্বক তাঁহার কন্যাকে এই গুলি করাইয়াছেন। কিন্তু কুচবিহার হইতে এক ব্যক্তি লিখিয়াছেন যে এ কার্য্য কেশব বাবুর গৃহিণী এবং মাতার অগোচরে হয় নাই সুতরাং বর পক্ষদিগকে নিতান্ত প্রতারণা অপরাধে অপরাধী করাও যায় না। পাত্রটীকেও বিলক্ষণ সুখ্যাতি করা হইয়াছে। তিনি পৌত্তলিকতা