পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২২)

ত্রিপুণ্ড্রধারী ব্রাহ্মণ; উদ্বাহু প্রতিজ্ঞা বিবাহ স্থানে হয় নাই, অনেকক্ষণ পরে অন্দরে গিয়া হইয়াছে—কলিকাতায় আসিয়া করিলেই হইত। চতুর্থতঃ, পদ্ধতি ও পৌত্তলিকতা দোষ শূন্য হয় নাই। তবে ব্রাহ্ম বিবাহের বৈধতা কিরূপ রক্ষিত হইয়াছে তাহা সকলে দেখুন। অথচ প্রচারকদ্বয় বলিয়াছেন “উপরে লিখিত বিবাহ বৃত্তান্ত পাঠে আপনারা সহজে বুঝিতে পারিবেন যে যাঁহারা বাল্য বিবাহ ও পৌত্তলিকতার দোষ আচার্য্য মহাশয়ের প্রতি আরোপ করিয়াছেন তাঁহারা ভ্রমবশতঃ এরূপ কার্য্য করিয়াছেন।” এক ব্যক্তি একবার আহার করিতে বসিয়া বলিয়াছিল—ব্যঞ্জনটা বেশ হইয়াছে, পরে এক এক করিয়া জিজ্ঞাসা করাতে বলিল—লবণ একটু অধিক, হরিদ্রা কম, ঝাল বেশি, জল অধিক, মসলার অভাব। প্রচারকগণও কি সেইরূপ বলিবেন যে বিবাহটী নির্দ্দোষ হইয়াছে তবে কিনা, বরের বয়স ১৫ কন্যার বয়স ১৩; তবে কিনা কেশব বাবুর জাতিভ্রষ্ট বলিয়া সম্প্রদান করিতে পান নাই; ব্রাহ্ম পুরোহিত পৌরহিত্য করিতে পান নাই; তবে কিনা বিবাহের পূর্ব্বে কন্যাকে প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইয়াছিল এবং বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ নান্দীমুখ প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত রীতিতে হইয়াছিল; তবে কিনা উপাসনাটা এক পাশে বসিয়া নম নম করিয়া সারিতে হইয়াছিল এবং উদ্বাহু প্রতিজ্ঞা উপদেশাদি লুকাইয়া করিতে হইয়াছিল; তবে কিনা পাত্রকে হোমের সময় উপস্থিত থাকিতে হইয়াছিল এবং বাইনাচ প্রভৃতি বন্ধ করিতে পারা যায় নাই।” যদি কাহারও ইচ্ছা হয় ইহাকে ব্রাহ্ম বিবাহ বলুন। আমি বলিতে পারিব না।