কর্ত্তা। আর শেখাবে কে? এ কলকাতা মহালাপ নগর-কর্জি রাজধানী, এখানে কি কোন ভদ্র লোকের বসতি করা উচিত?
গৃহিণী। ওমা, তাইতো, এত কে জানে, না?
কর্ত্তা। কাল প্রাতেই আমি তোমাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীবৃন্দাবনে যাত্রা করবো। এ লক্ষীছাড়াকে আর এখানে রেখে কাজ নেই। চল, এখন আমরা যাই। এ বানরটা একটু ঘুমুক-
নব। হিয়র, হিয়র, আই সেকেণ্ড দি বেজোলুসন।
কর্ত্তা। হায় আমার বংশেও এমন কুলাঙ্গার জন্মেছিল?
গৃহিণী। ও প্রসন্ন, ও কমলা, ওলো তোরা মা এখানে একটু থকে আয়
হর। (অগ্রসর হইয়া) ও ঠাকুরঝি, এই ভাই তোর দাদার দশা দেখ্। হায়, এই কলকেতায় যে অজ্ কাল কত অভাগা স্ত্রী আমার মতন এইরূপ যন্ত্রনা ভোগ করে তার সীমা নাই। হে বিধাতা! তুমি আমাদের উপর এত বাম হলে কেন?
প্রসন্ন। তা এ অজ আর নতুন দেখিলি না কি? জ্ঞান তরঙ্গিণী সভাতে এই রকম জ্ঞানই হয়ে থাকে।
হর। তা বই আর কি ভাই? আজ কাল কলকেতায় যাঁরা লেখা পড়া শেখেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই কেবল এই জ্ঞানটী ভাল জন্মে। তা ভাই দেখ্ দেখি, এমন স্বামী থাকলিই বাকি আর না থাকলিই বা কি। ঠাকুরঝি তোকে বলতে কি ভাই, এই সব দেখে শুনে আমার ইচ্ছে করে যে গলায় দড়ি দে মরি। (দীর্ঘ-নিশ্বাস) ছি, ছি, ছি। (চিন্তা করিয়া) বেহায়ারা আবার বলে কি যে আমরা সায়েবদের মতো সভ্য হয়েচি। হা আমার পোড়া কপাল! মদ্ খাস করেই কি সভ্য হয়?—একেই কি বলে সভ্যতা?
ববদিকা পতন