পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা।
২৯

কর্ত্তব্য। স্ত্রীলোক “ভবতি ও প্রিয় ভগ্নী বা মাতা” বলিয়া সম্বোধিত হইতেন। স্ত্রীলোক দেখিবামাত্রে পুরুষ দণ্ডায়মান হইয়া তাঁহাকে অগ্রে যাইতে দিতেন। রাজা যুধিষ্ঠির আপন কিঙ্করীকে “ভদ্রে” বলিয়া ডাকিতেন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীলোক এবং বালকদিগের আহার অগ্রে প্রদত্ত হইত। অন্য পুরুষের সহিত স্ত্রীলোক নিষেধিত না হইলে, কথোপকথন করিতে পারিত। কিন্তু স্বামী বিদেশে গমন করিলে, স্ত্রী অন্যের বাটীতে উৎসব ও যেখানে বহুলোকের সমাগম, সেই সকল স্থানে না যাইয়া আপন গৃহে থাকিয়া ধর্ম্মানুষ্ঠান করিতেন। রাজারা স্ত্রীলোকদিগের তত্ত্বাবধারণ করিতেন। ভরত, রামচন্দ্রের নিকট বনে গমন করিলে রাম জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি স্ত্রীলোকদিগের প্রতি সম্মান পূর্ব্বক ব্যবহার করিয়া থাকতো?” যখন যুধিষ্ঠির ধৃতরাষ্ট্রের-আশ্রমে গমন করেন, তখন ধৃতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করিলেন—“রাজ্যেতে দুঃখিনী অঙ্গনারা তো উত্তমরূপে রক্ষিত হয় ও রাজবাটীতে স্ত্রীলোকেরা তো সম্মান পূর্ব্বক গৃহীত হয়?” স্ত্রীলোক, রক্ষক বিহীনা হইলে রাজা দ্বারা রক্ষিত হইতেন। মনু কহেন “কন্যা অতিশয় স্নেহের পাত্রী।” ভীষ্ম কহেন—মাতা ইহ ও পর-