ঋগ্বেদের সময় সহমরণ ছিল না। যিনি বিধবা হইতেন, তিনি স্বামীর মৃতদেহের সহিত কিয়ৎকালের জন্য স্থাপিত হইয়া উঠিয়া আসিতেন। পরে তিনি অন্য পুরুষকে বিবাহ করিতে পারিতেন। ঋষিরা বিধবা বিবাহ করিতেন। অনন্তর বিধবার পুনর্ব্বিবাহ, পতিপরায়ণা নারীদিগের বিষতুল্য জ্ঞান হইতে লাগিল। তাঁহারা বলিতে লাগিলেন বৈবাহিক বন্ধন কেবল ঐহিক বন্ধন নহে—ইহা ঐহিক ও পারলৌকিক বন্ধন। পতি সাকার হউক বা নিরাকার হউক, সেই পতির সহিত মিলিত হইয়া, লোকান্তরে দুই জনে উন্নতি সাধন করিতে হইবে। অতএব এই বিশুদ্ধ ভাব পরিত্যাগ করিয়া পশুবৎ ভাব গ্রহণ পূর্ব্বক, পশুবৎ হইয়া অধোগতি প্রাপ্তির কি আবশ্যক? বৈবাহিক বন্ধনে স্ত্রী ও স্বামী, পরস্পরের অর্দ্ধেক শরীর, অৰ্দ্ধেক জীবন, অৰ্দ্ধেক হৃদয়। এইরূপ চিন্তা সতীর হৃদয়ে মন্থিত হইলে, সহমরণের প্রথা প্রচলিত হইল। বিধবার এই বাসনা যে, স্বর্গে স্বামীর সহিত বাস করাই শ্রেষ্ঠ কল্প ও তাঁহার সহযোগে, তাঁহার পিতৃ ও মাতৃকুল পবিত্র করা,
পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৪২
অবয়ব
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা।
৩১
পুনর্ব্বিবাহ, সহমরণ ও ব্রহ্মচর্য্য।