পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৬
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা।

থাকিতে হইত। এই নিয়ম কত দূর প্রবল ছিল, তাহা বলা কঠিন, কারণ অসবর্ণ বিবাহ পূর্ব্বে প্রচলিত ছিল।

 উত্তম স্ত্রীর লক্ষণ, মনু বলেন—জ্ঞান, ধর্ম্ম, পবিত্রতা, মৃদুবাক্য, ও নানা শিল্পবিদ্যায় পারদর্শিতা। এবম্প্রকার অঙ্গনা, রত্নের ন্যায় উজ্জ্বল হয়েন। মনু ও ভীষ্ম বলেন যে, নীচ জাতিতে উত্তম স্ত্রীলোক থাকিলে, তিনিও উচ্চ জাতি দ্বারা গ্রহণীয়। বিবাহে কন্যার সম্মতির আবশ্যক হইত। বিবাহ কালীন, বর কন্যাকে জিজ্ঞাসা করিতেন তোমাকে কে দিতেছেন—প্রেম অথবা আপন ইচ্ছা? উত্তর প্রেম দাতা, প্রেম গৃহীতা। তাহার পর, বর বলিতেন—তোমার চিত্ত আমার চিত্ত হউক। বিবাহের এক নিয়ম এই যে, স্ত্রী পুরুষ পরস্পরের প্রতি শুদ্ধাচার অনুষ্ঠান পূর্ব্বক বৈবাহিক শপথ রক্ষা করিবেক। রণে, যদ্যপি রাজা শক্রর কন্যাকে জয় লাভ করিয়া আনিতেন, তথাপিও তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে তাহাকে বিবাহ করিতে পারিতেন না। পূর্ব্বে কোন কোন বিদূষী এই পণ করিতেন, যাহারা তাহাদিগকে পাণ্ডিত্যে পরাজয় করিতে সামর্থ হইবেন, তাহাদিগের গলায়