পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভূমিকা।

 আর্য্যবংশীয় মহিলাগণ! আপনাদিগের জন্য এই ক্ষুদ্র গ্রন্থখানি রচিত হইল। ইহা পাঠে প্রতীয়মান হইবে যে, পূর্ব্বকালে এতদ্দেশীয় অঙ্গনাগণ সর্ব্বপ্রকারে সম্মানীত ও পূজিত হইতেন, এজন্য অদ্যাবধিও এই সংস্কার যে স্ত্রীলোক দেবীস্বরূপ—স্ত্রীলোক সাক্ষাৎ ভগবতি। পূর্ব্বকালে অঙ্গনাগণের শিক্ষা কেবল বাহ্যশিক্ষা হইত না—প্রকৃত অন্তর শিক্ষা হইত, এইকারণ তাঁহাদিগের ঈশ্বর জ্ঞান ও আত্মার অমরত্ব হৃদয়ে জাজ্বল্যমান ছিল। তাঁহারা অন্তঃপুরে রুদ্ধ থাকিতেন না ও বৈবাহিক বয়ঃপ্রাপ্ত না হইলে বিবাহ করিতেন না। এক্ষণে স্ত্রী শিক্ষা বিষয়ক অনেক প্রণালী বিবেচিত হইতেছে কিন্তু আসল শিক্ষা ঈশ্বরকে আদর্শ না করিয়া হইতে পারে না। স্ত্রীলোক যে অবস্থাতেই থাকুন—বিবাহিতা কিম্বা অবিবাহিতা, সধবা কিম্বা বিধবা, সম্পদে কিম্বা বিপদে, আত্মা ঈশ্বরের সহিত সংযুক্ত না হইলে ঐহিক কিম্বা পারত্রিক মঙ্গল বা উন্নতি সাধন কখনই হইতে পারে না। এই সত্যের প্রতি মন নিবেশ করিবার জন্য, আমি এই ক্ষুদ্র গ্রন্থখানি রচনা করিলাম। আমার প্রাণগত প্রার্থনা এই যে, আপনাদিগের চিত্ত যেন নিরন্তর ঈশ্বরেতে মগ্ন থাকে।