পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বাভাবিক সংস্কার ও বিবেক বুদ্ধি।

 —“আচ্ছা, যাহা অস্থায়ী তাহার উপর আমরা নির্ভর করিতে পারি কি না?”

 —“না, পারি না।”

 —“আচ্ছা, সুখের কি কোন স্থায়িত্ব আছে?”

 —“না, স্থায়িত্ব নাই।”

 আচ্ছা তবে সুখকে অর্থাৎ প্রেয়কে শ্রেয়ের স্থান হইতে সরাইয়া ফেলিয়া তৌলদণ্ড হইতে দূরে নিক্ষেপ কর। কিন্তু যদি তোমার চক্ষের দৃষ্টি ক্ষীণ ও অস্পষ্ট হয়, একটি তৌলদণ্ডকে যদি যথেষ্ট মনে না কর, তাহা হইলে আর একটি তৌলদণ্ড গ্রহণ কর।

 —“যাহা শ্রেয় তাহাতেই আনন্দলাভ করা ঠিক কি না?”

 —“হাঁ, তাহাই ঠিক্।”

 —“আর, সুখের সামগ্রীতে আনন্দলাভ করা কি ঠিক্?”

 এই সকল বিষয় তৌলদণ্ডে ভাল করিয়া ওজন করিয়া তবে উত্তর দিও।

 নিয়মটি যদি তোমার হস্তগত হয়, তাহা হইলে এই সকল বিষয়ের বিচার করা—পরিমাপ করা তোমার পক্ষে সহজ হইবে।

 এই নিয়ম-সকল পরীক্ষা করা,—স্থাপন করাই তত্ত্ববিদ্যার মুখ্য উদ্দেশ্য। এবং এই নিয়মগুলি আবিষ্কৃত হইলে, তাহা জীবনে ব্যবহার করাই তত্ত্বজ্ঞানী সাধু জনের কাজ।

স্বাভাবিক সংস্কার ও বিবেক বুদ্ধি।

 স্বাভাবিক সংস্কারগুলি মনুষ্যমাত্রেরই সাধারণ সম্পত্তি এবং উহা সর্ব্ববাদি-সম্মত; উহা লইয়া পরস্পরের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হয় না।