পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
এপিক্‌টেটসের উপদেশ।

এড়াইতে গিয়া সেই বস্তুর মধ্যেই আবার গিয়া পড়ে, এই দুই ব্যক্তিই হতভাগ্য।

 যে সকল বস্তু তোমার আয়ত্তাধীন ও প্রাকৃতিক নিয়মের বিরোধী তাহা যদি তুমি এড়াইতে চেষ্টা কর, তাহা হইলে তুমি সফল হইতে পারিবে। কিন্তু যাহা তোমার আয়ত্তাধীন নহে এবং যাহা প্রকৃতিরই অপরিহার্য্য ধর্ম্ম—সেই দুঃখ কষ্ট ও মৃত্যুকে তুমি কিছুতেই এড়াইতে পারিবে না। অতএব সে চেষ্টা হইতে বিরত থাকিবে।

 ২। কোন বস্তুই হঠাৎ উৎপন্ন হয় না। এমন কি, একগুচ্ছ আঙুর ও ডুমুরফলও হঠাৎ উৎপন্ন হয় না। যদি তুমি আমাকে বল, “আমি এখনি একটি ডুমুর খাইতে চাই,” তাহার উত্তরে আমি এই কথা বলিব:—“আগে ডুমুরের ফুল হোক্, তার পর তার ফল হোক্—তার পর সেই ফল পাকুক্ ইত্যাদি”। যখন দেখা যাইতেছে, সামান্য একটা ডুমুরের ফলও একেবারেই কিম্বা এক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় না, তখন তুমি কি আশা করিতে পার, মানব-মনের ফল এত শীঘ্র ও এত সহজে হস্তগত হইবে? আমি যদি তোমাকে বলি, “হাঁ, হইবে”; তবুও তুমি তাহা প্রত্যাশা করিও না।

 ৩। মনুষ্য-জীবনের প্রকৃতিগত উদ্দেশ্য সিদ্ধ করাও বড় একটা সামান্য কথা নহে। কেন না, মানুষ কাহাকে বলে? তুমি বলিবে, যে জীব প্রাণবান্, যে মরণাধীন, যে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন সেই মানুষ। “আচ্ছা ভাল, বিবেক-বুদ্ধি আছে বলিয়া মানুষ কাহা হইতে ভিন্ন?”

 —“বনের হিংস্র জন্তু হইতে”।

 “আর কাহা হইতে ভিন্ন?”

 —“গো-মোদি হইতে"।

 তবে দেখিও, তুমি যেন হিংস্র জন্তুদিগের মত কোন কাজ