পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
এপিটেটসের উপদেশ।

সুরক্ষিত হইতে পারে, কিরূপে অবাধে সম্পাদিত হইতে পারে, তাহারই উপদেশ এই তৃতীয় বিভাগের বিষয়। তাহার স্থূল মর্ম্ম টি এই:— কোন বস্তু আমরা বিনা পরীক্ষায় গ্রহণ করিব না। বিনা-পরীক্ষায় কোন বাসনার প্ররোচনাকেও মনে স্থান দিব না। কেহ বলিতে পারেন, ইহা আমাদের সাধ্যাতীত।

 দেখিতে পাই, আজকালের তত্ত্বজ্ঞানীরা উপরোক্ত দুই বিভাগকে ছাড়িয়া এই তৃতীয় বিভাগটি লইয়াই ব্যাপৃত। ইহা লইয়াই তাহাদের যতকিছু তর্কবিতর্ক, বাদবিতণ্ডা, সিদ্ধান্তস্থাপন, ও হেত্বাভাস-প্রদর্শন হইয়া থাকে। তাঁহারা বলেন, সিদ্ধান্ত-নির্ণয়ের সময়, সতর্কতার সহিত আপনাকে বিভ্রম হইতে রক্ষা করিবে। কিন্তু যে ব্যক্তি জ্ঞানী ও সাধু সেই আপনাকে বিভ্রম হইতে রক্ষা করিবে—না, আর কেহ?

 ২। তবে কি, বিভ্রম হইতে আপনাকে রক্ষা করা—শুধু এই কাজটুকুই তোমাদের এখন করিতে বাকি? আর সমস্ত কাজই তোমাদের হইয়া গিয়াছে? তোমরা কি অর্থে আর প্রলুব্ধ হও না? কোন সুন্দরী রমণীকে দেখিয় তোমরা কি বিচলিত হও না? তোমার কোন প্রতিবেশী উত্তরাধিকার-সূত্রে কোন সম্পত্তিলাভ করিলে তোমার কি ঈর্ষা হয় না? সংক্ষেপে আর কিছু তোমাদের করিতে বাকি নাই, এখন কেবল, যাহা সাধনায় পাইয়াছ, তাহাই সুদৃঢ় করাই কি তোমাদের একমাত্র প্রয়োজন?

 হতভাগ্য! এই কথাগুলি শুনিতে শুনিতেই যে তুমি ভীত ও উদ্বিগ্ন হইতেছ, পাছে কেহ তোমাকে অবজ্ঞা করে—তুমি জানিতে উৎসুক হইয়াছ, তোমার সম্বন্ধে কে কি-কথা বলিতেছে। আজকালের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানী কে?—এই কথা আলোচনার সময়, সেই সভায় উপস্থিত কোন ব্যক্তি যদি তোমার নাম করিয়া বলে “অমুক ব্যক্তি