পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিতর্কের বৎসর গুলি দাসত্বসম্পর্কে প্রথম বক্তৃতা سمي" ১৮৫৪ সাল নাগাদ দাসত্ব সমস্যা মার্কিণ রাজনীতিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইয়া দাঁড়ায়। তখন পশ্চিমদিকে প্রসারের যুগ। এই প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে যে সকল নূতন রাষ্ট্র ইউনিয়নে যোগদান করিতেছিল মূলতঃ তাহাদের সম্পর্কেই সমস্যাটি দেখা দিয়াছিল। পরবর্তীকালে লিঙ্কনের প্রবলতম প্ৰতিপক্ষ সেনেটর সন্টীফেন এ. ডগলাস-এর বক্তৃতার উত্তরে ১৮৫৪ সালের অক্টোবর মাসে ইলিনয়ের অন্তর্গত পিওরিয়া (Peoria) নামক স্থানে তিনি যে বক্তৃতা করেন তাহাই এ বিষয়ে ভঁাহার সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য বক্তৃত। ডগলাস প্ৰথমে বক্তৃতা দেন। তঁহার মত লিঙ্কনও প্রায় তিন ঘণ্টার অধিককাল বক্তৃতা করেন। উদ্ধৃত অংশে এ বিষয় সম্পর্কে র্তাহার মূল মতবাদের পরিচয় পাওয়া যায়। “দক্ষিণের প্রতি সম-আচরণের” নীতির জন্য নূতন দেশগুলিতে দাস-প্রথা বিস্তারে আমাদের সম্মতি দেওয়া কর্তব্য বলিয়া বলা হয় । ইহার অর্থ হইল। এই যে আমি আমার শূকরটিকে নেব্রাস্কা লইয়া গেলে আপনি যখন আপত্তি করেন না, আপনি আপনার ক্রীতদাসকে লইয়া গেলে আমারও আপত্তি করা উচিত নয়। যদি শূকর ও নিগ্রোদের মধ্যে কোন পার্থক্য না থাকে। তবে এই যুক্তিতে যে গলদ নাই তাহা স্বীকার করিতেই হইবে। এই ভাবে নিগ্রোদের মানবতা অস্বীকার করিতে যদি আপনারা আমাকে বাধ্যা করিতে চাহেন, তবে আপনারা যাহারা দক্ষিণে থাকেন তাহাদিগকে আমি প্রশ্ন করিব, আপনারাও কি কখনও তাহা করিয়াছেন ? ভগবানের সদয় বিধানে, পৃথিবীতে যাহারা আসে তাহদের মধ্যে মুষ্টিমেয় লোকই স্বভাব-দুবৃত্ত হয়। স্বাধীন রাষ্ট্র অপেক্ষা দাস রাষ্ট্রে তাহদের শতকরা হার অধিক নহে। উত্তর অঞ্চলেই থাকুন বা দক্ষিণ অঞ্চলেই থাকুন, জনসাধারণের আধিকাংশের মধ্যে মানবিক সহানুভূতিবোধ রহিয়াছে—দৈহিক বেদনাবোধ যেমন তঁাহারা এড়াইতে পারেন না সেরূপ এই সহানুভূতিবােধকেও তঁাহারা কাটাইতে পারেন না। দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের এই প্রকৃতিগত সহানুভূতি হইতে অনেকভাবে প্রকাশ পায় যে তঁাহারা দাসপ্রথাকে অন্যায় বলিয়া মনে করেন এবং নিগ্রোদের মধ্যেও যে মানবতা রহিয়াছে সে বিষয়ে তাহারা সচেতন । যদি একথা তাহারা অস্বীকার করেন, আমি তঁহাদিগকে কয়েকটি সহজ প্রশ্ন করিব—১৮১০ সালে আপনার প্রায় একবাক্যে উত্তরাঞ্চলের জনসাধারণের সহিত সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, আফ্রিকা হইতে দাস আনিয়া ব্যবসা করা জলদসু্যতার সামিল এবং তাহার সমুচিত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড । কেন তাহা করিয়াছিলেন ? যদি আপনারা উহা অন্যায় মনে না করিয়া থাকেন তবে কেন ইহার জন্য মানুষকে ফঁাসিকাষ্ঠে ঝুলাইবার বিধান প্রণয়নের জন্য እ (í