পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী আমি বলিতেছি। ইহাই হইল সর্বশ্রেষ্ঠ নীতি—মার্কিন সাধারণতন্ত্রবাদের মূল ভিত্তি। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হইয়াছে ? “আমরা এই সত্যগুলিকে স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া মনে করি ? যে সকল মানুষই সমভাবে সৃষ্ট হইয়াছে ; ভ্ৰষ্টা তাহাদিগকে কতকগুলি সহজাত অধিকার দ্বারা মণ্ডিত করিয়াছেন ; সেই অধিকারগুলির মধ্যে রহিয়াছে জীবন, স্বাধীনতা এবং সুখানুসরণের অধিকার । এই অধিকারগুলি সুরক্ষিত করিবার জন্য মানুষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে এবং শাসিতদের সম্মতিই হইল। সরকারের ন্যায্য ক্ষমতার ভিত্তি ।” এই দীর্ঘ উদ্ধতির উদ্দেশ্য ইহা দেখান যে আমাদের সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী সরকারের ন্যায্য ক্ষমতা আসে শাসিতদের সম্মতি হইতে । এখন প্ৰভু এবং দাসের সম্পর্ক, তদনুপাতে, এই নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী। প্ৰভু যে কেবল দাসের সম্মতি ছাড়াই তাহাকে শাসন করে তাঁহাই নহে ; যে নিয়মাবলী দ্বারা সে নিজে পরিচালিত তয় দাসকে তাহা হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের নীতি অনুযায়ী সে শাসন করে। সরকার পরিচালনায় সকল শাসিতকে সমান সুযোগ দিন, তবে তাহাই, কেবলমাত্র তাহাই, হইবে স্বায়ত্তশাসন । যেন একথা বলা না হয় যে আমি শ্বেতকায় এবং কৃষ্ণকায়দিগের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিবাদ করিতেছি । পূর্বেই আমি ইহা খণ্ডন করিয়াছি। কৃষ্ণকায়গণ আমাদের মধ্যে বর্তমান—এই সত্য হইতে উদ্ভূত প্রয়োজন বিষয়ক প্রশ্নের বিপক্ষে আমি সওয়াল করিতেছি না। আমি কেবল সেই তথাকথিত নৈতিক যুক্তির বিরোধিতা করিতেছি। যাহার বলে নিগ্রেগণকে এমন এক অবস্থায় ফেলা হইবে যে অবস্থায় তাহারা কখনও ছিল না, আমি বিরোধিতা করিতেছি এমন একটি অন্যায় জিনিষের প্রসারের-—যেখানে তাহ বর্তমান সেখানে বাধ্য হইয়াই আমাদিগকে সে বিষয়ে যথাসাধ্য ব্যবস্থা করিতে হইবে । দাসপ্রথা সম্পর্কে : বন্ধুর নিকট পত্ৰ ১৮৫৫ সালের আগষ্ট মাসে একজন পুরাতন বন্ধুর নিকট লিখিত ব্যক্তিগত পত্রে লিঙ্কন দাসপ্রথা সম্পর্কে তঁহার ব্যক্তিগত মনোভাব শান্তভাবে বিশ্লেষণ করেন । - ম্প্রীং ফিল্ড, আগষ্ট ২৪, ১৮৫৫ প্রিয় স্পীড 2 তুমি জান চিঠি লেখায় আমি কত অপটু ৷ বাইশে মে তারিখের লেখা তোমার সুন্দর চিঠিখানি পাইবার পর হইতেই আমি উত্তর দিব বলিয়া ভাবিতেছি। তুমি বলিতে চাহিয়াছ যে এখন হইতে রাজনৈতিক কার্যক্রমে তোমার এবং আমার মধ্যে পার্থক্য দেখা দিবে। আমার মনে হয় হয়তো তাহাই হইবে—তবে তুমি যতটা ভাবিতেছ ততটা হইবে বলিয়া মনে করি না। তুমি জান আমি দাসপ্রথা অপছন্দ করি ; এবং বাস্তব দৃষ্টিতে তুমিও ইহার