পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী বস্তুত: সেই সৌভাগ্য আনয়নের ক্ষমতা তাহদের ছিল না । তঁাহারা কেবল অধিকার ঘোষণা করিতে চাহিয়াছিলেন যাহাতে অবস্থানুযায়ী যথাশীঘ্ৰ সেগুলি কার্যকরী হইতে পারে। স্বাধীন সমাজের জন্য র্তাহারা একটি নির্ধারিত সূত্র প্রচলন করিতে চাহিয়াছিলেন—যাহা সকলেই জানিবে এবং শ্রদ্ধা করিবে এবং বাস্তবে যাহার রূপায়ণ সম্পূর্ণরূপে সম্ভব না হইলেও বহুলাংশে হইবে এবং যাহার দ্বারা সকলে পরিচালিত হইবে এবং যাহার জন্য সকলে চেষ্টা করিবে— এই ভাবে ইহার প্রভাব সতত বিস্তৃত ও গভীর হইয়া সর্বত্র সকল বর্ণের জনসাধারণের জীবনের মূল্য এবং সুখবৃদ্ধিতে সহায়তা করিবে । “সকল মানুষ সমানভাবে সৃষ্ট হইয়াছে।” এই বাক্যটি গ্রেট বৃটেন হইতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে কার্যতঃ কোন সাহায্যে আসে নাই ; এবং ঘোষণাপত্ৰেও উহা সেজন্য স্থান পায় নাই, স্থান পাইয়াছে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য । ইহার রচয়িতাগণ চাহিয়াছিলেন—ঈশ্বরের ধন্যবাদ, তাহাই হইতে চলিয়াছে—উত্তরকালে যদি কেহ স্বাধীন জাতিকে স্বৈরাচারের ঘূণ্য পথে, ফিরাইয়া লইয়া যাইতে চায়। তবে তাহাদের পথে যেন উহা প্ৰতিবন্ধক সৃষ্টি করে । বিভক্ত পরিবার দাস প্রথার প্রশ্ন সম্পর্কে বিভেদ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবতন ঘটিতে থাকে। লিঙ্কন যে হুইগ দলের সদস্য ছিলেন, তাহার অস্তিত্ব বিলোপ পায় এবং একটি নূতন রিপাবলিকান দলের প্রতিষ্ঠা হয়—যাহার অন্যতম নেতা ছিলেন। লিঙ্কন। ১৮৫৮ সালের জুন মাসে রিপাবলিকান ষ্টেট কনভেনশনের শেষে লিঙ্কন একটি বক্তৃতা দেন ; তাহাতে তিনি এরূপ যথাযথভাবে—এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের তুলনায় এমন সাহসের সহিত—দেশের সম্মুখে সর্বপ্রধান সমস্যাটির সংজ্ঞা নির্দেশ করেন যে এই বক্তৃতাটিই, এই সর্বপ্রথম, জাতীয় ক্ষেত্ৰে ভঁাহাকে সুপরিচিত করিয়া তোলে। বক্ততার প্রথম অংশের আক্ষরিক অর্থেই দেশবাসী চমৎকৃত হইয়াছিল। যদি আমরা আগ্ৰে জানিতে পারিতাম। আমরা কোথায় আছি এবং কোথায় চলিয়াছি, তবে কি করিতে হইবে এবং কেমন করিয়া করিতে হইবে তাহা আমরা ভাল করিয়া বুঝিতে 2ातिष्ठाभ | দাসপ্রথা সম্পকিত আন্দোলনের পরিসমাপ্তির সর্বজনস্বীকৃত উদ্দেশ্যে, এবং তাহার সুনিশ্চিত আশ্বাস লইয়া, যে নীতির সূচনা করা হয় আজ তাহা পঞ্চম বৎসরে পড়িয়াছে।