পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেসিডেন্টরূপে কাৰ্যকাল আবিমূৰ্য্যকারিতার কোন সঙ্গত কারণ থাকে না । বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, খৃষ্ট ধর্মে অনুরক্তি, এবং যিনি এই প্রিয় দেশকে এখনও পরিত্যাগ করেন নাই সেই ভগবানের উপর অবিচল বিশ্বাস থাকিলে এখনও অত্যন্ত সহজে আমাদের বর্তমান সংকট হইতে পরিত্ৰাণ লাভ করা সম্ভব । আমার ক্ষুব্ধ স্বদেশবাসিগণ, আপনাদেরই হাতে গৃহযুদ্ধের এই যুগবিপর্যয়কারী সমস্যার সমাধান রহিয়াছে—আমার হাতে নহে। সরকার। আপনাদের আক্রমণ করিবে না ; আপনার আক্রমণ না করিলে কোন সংঘর্ষই ঘটিবে না । এই সরকার ধ্বংসের জন্য ঈশ্বরের নিকট কোন শপথে আপনার আবদ্ধ হ’ন নাই, কিন্তু আমি পবিত্র শপথ গ্ৰহণ করিয়াছি যে ইহাকে “সংরক্ষণ, প্ৰতিপালন এবং পোষণ করিব।” । সম্পর্ক ছিন্ন করিতে আমি অনিচ্ছক। আমরা শত্ৰু নহি, বন্ধু । আমাদের শত্রু হওয়া উচিত হইবে না । উত্তেজনায় স্ফীতি ঘটিলেও কখনও স্নেহবন্ধন ছিন্ন করিতে দেওয়া উচিত হইবে না। প্রতিটি রণক্ষেত্র, প্রতিটি দেশপ্রেমিকের সমাধি হইতে প্রতিটি জীবন্ত বা অনুভূতিশূন্য হৃদয়ে এই বিস্তীর্ণ দেশের সর্বত্র স্মৃতির যে রহস্যতন্ত্রী ছাড়াইয়া রহিয়াছে যদি আমাদের চরিত্রের মহত্তর বৃত্তিগুলি দ্বারা তাহা স্পর্শ করা যায়। তবে তাহাতে ইউনিয়নের ঐক্যতান বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হইবে । যুদ্ধ : কংগ্রেস সকাশে বাণী ১৮৬১ সালের এপ্রিল মাসে বিভেদপন্থী রাষ্ট্রসমূহের সৈন্যবাহিনী কতৃক ফোর্ট সামটার (Fort Sumiter) স্থিত ফেডারেল সৈন্যবাহিনীর উপর কামান চালাইবার পর যুদ্ধ অবশ্যম্ভাৰী হইয়া উঠে। ১৮৬১ সালের ৪ঠা জুলাই কংগ্রেসের নিকট এক বাণীতে লিঙ্কন পরিস্থিতির সুগম্ভীর পর্যালোচনা করেন : --সামটার দুর্গের ঘটনা দ্বারা • • • সরকারের আক্রমণকারীরা দেশের উপর এই প্রশ্নটি চাপাইয়া দিয়াছে : “অবিলম্বে ভাঙ্গিয়া ফেল, না হয় রক্ত দাও”। এই প্রশ্ন যে কেবল এই সংযুক্ত রাষ্ট্রগুলিরই ভাগ্য নির্ধারণ করিবে তােহা নহে ; সমগ্ৰ মানব পরিবারের নিকট ইহা প্রশ্ন তুলিয়াছে যে আভ্যন্তরীণ শত্রুর বিরুদ্ধে কোন নিয়মতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র বা গণতন্ত্র-জনগণের দ্বারা গঠিত জনগণের সরকার—তাহার ভৌগোলিক অখণ্ডত৷ বজায় রাখিতে পারে কি পারে না ? ইহা এই প্রশ্ন তুলিয়া ধরিয়াছে যে মুষ্টিমেয় অসন্তুষ্ট ব্যক্তি সংখ্যায় যাহারা এতই নগণ্য যে সংবিধানসম্মত আইন অনুযায়ী শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের সাধ্যও তাহদের নাই, তাহারা কখনও বর্তমানে যে সকল অজুহাত দেখান হইয়াছে সেই সকল বা অপর কোন, অজুহাত দেখাইয়া, বা যথেচ্ছভাবে কোন অজুহাত না দেখাইয়া, তাহাদের