পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ ব্রাহাম লিঙ্কনের বক্ততাবলী こ প্রত্যেকেই অপরের বিরুদ্ধে ভগবানের সাহায্যের জন্য আবেদন করেন । একদল লোক অপর একদল লোকের ঘর্মাজিত রুটা ছিনাইয়া লইবার জন্য কীরূপে ন্যায়পরায়ণ ভগবানের নিকট সাহায্য চাহিতে সাহস করে ভাবিলে বিস্ময় জাগিতে পারে ; কিন্তু এ বিষয়ে আমরা যেন বিচারে না বসি, কারণ তাহা হইলে অপর পক্ষ আমাদের সম্পর্কেও অনুরূপভাবে বিচারে বসিবে । উভয়ের প্রার্থনার উত্তর দেওয়া সম্ভব ছিল না ; কোন পক্ষেরই উত্তর পূর্ণভাবে দেওয়া হয় নাই | সর্বশক্তিমান তাহার নিজের অভিপ্ৰায় অনুযায়ী চলেন । “অপরাধের জন্য পৃথিবী দুঃখ পাউক । অপরাধ অনুষ্ঠিত হইলে দুঃখ পাইতেই হইবে ; কিন্তু যে মানুষের দ্বারা অপরাধ অনুষ্ঠিত হয় সে দুঃখ পাউক ।” যদি আমরা ধরিয়া লই যে আমেরিকার দাসপ্রথা এমন একটি অন্যায়, যাহা ভগবানের বিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হইয়াছে, কিন্তু তাহার নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় যাহার অবসান ইচ্ছা করিয়া অপরাধকারীদের প্রাপ্য শাস্তিবিধানের জন্য তিনি উত্তর ও দক্ষিণকে এই যুদ্ধে লিপ্ত করিয়াছেন—তবে কি তাহার মধ্যে সজীব ভগবানে বিশ্বাসী ভক্তগণ ভগবানের প্রতি যে স্বৰ্গীয় মহিমা আরোপ করিয়াছেন তাহার কোন বৈপরীত্য লক্ষ্য করিব ? আমরা ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করি এবং আনন্দিতচিত্তে আশা করি যেন অবিলম্বে এই যুদ্ধের প্রবল যন্ত্রণার অবসান ঘটে। কিন্তু ভগবানের অভিপ্রেতি যদি ইহাই হয় যে যতদিন পর্যন্ত ক্রীতদাসদিগের সার্ধ দুইশত বৎসরের অতৃপ্ত শ্রমের উপর নিমিত সকল সম্পদ বিলুপ্ত না হইতেছে, যতদিন পর্যন্ত না তরবারিদ্বারা, নিঃসৃত রক্তবিন্দু দ্বারা বেত্ৰাঘাত নিঃসৃত প্রতিটি রক্তবিন্দুর মূল্য পরিশোধ হইতেছে, ততদিন যুদ্ধ চলিবে তবে তিনসহস্ৰ বৎসর পূর্বের ন্যায় আমাদিগকেও এখন বলিতে হইবে ? “ভগবানের বিচার যথার্থ এবং সম্পূর্ণরূপে ন্যায়সঙ্গত।” কাহারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করিয়া, সকলের প্রতি সমভাব লইয়া, ভগবান কতৃক প্রদত্ত ক্ষমতানুযায়ী ন্যায় পথ নির্ধারণ করতঃ সেই পথে অবিচল থাকিয়া, আসুন আমরা অগ্রসর হই, আমাদের আরাদ্ধ কার্য সম্পন্ন করি, জাতির ক্ষতে প্রলেপ দিই, যুদ্ধে নিহত বীর, তাহার বিধবা পত্নী এবং অনাথ সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ করি—সকল জাতির, এবং আমাদের মধ্যে, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সংরক্ষণের জন্য যাহা কিছু করণীয় সেই সকল কর্তব্য করিবার জন্য আসুন আমরা অগ্রসর হই । দেশ পুনর্গঠন সম্পর্কে ১৮৬৫ সালের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শেষ হয়। চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের দুই রাত্রি পরে লিঙ্কন হোয়াইট হাউসে। তঁহাকে সম্বধনার জন্য সমবেত জনমণ্ডলীর সম্মুখে একটি ভাষণ দেন। জনতা উল্লাসের আশায় ছিল ; কিন্তু d