পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিঞ্জিবেথ। سامة “শাসনাধিপতি যে এক জন ধৰ্ম্মপিতাকে আমাদের কুঢ়ীরে আশ্রয় দিতে অনুমতি করিয়া গিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য কি? আপনি মনে মনে বিবেচনা করিয়া দেখুন। স্পষ্টই বোধ হইতেছে সেই ব্যক্তিই আমাকে সমভিব্যাহারে করিয়৷ লইয়। যাইবেন, এবং সৰ্ব্বদা রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া অামার অভীষ্ট সাধনে সহায়তা করিবেন। দেখুন, পরে যাহা যাহা হইবে তাহ অগ্রেই দেখা যাইতেছে। যত যত প্রতিবন্ধক সম্ভব, এখন সকলই দূর হইয়াছে। এক্ষণে এ বিষয়ে আর কিছুই দুর্ঘটনাই এবং কিছুরই অভাব নাই। কেবল সম্মতি দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করুন, তাহা হইলেই মনোবাঞ্ছা পরিপুর্ণ হয়, এবং চরিতার্থ হই।” - স্পিন্সর এই সমস্ত কথা শুনিয়া দুঃখিত ভাবে কহিয়৷ উঠিলেন, “ তবে বুঝি তোমাকে ভিক্ষাও করিতে হইবেক । তোমার মাতামহ প্রভূতি মাতৃবংশীয়ের সেই সমস্ত প্রদেশে আধিপত্য করিয়া গিয়াছেন, এবং আমারও পিতৃ পিতামহ প্রভৃতি পুৰ্ব্বপুরুষের পোলেণ্ডের সিংহাসনে অধিরূঢ় হইয়। রাজ্য শাসন করিয়াছেন, ভাগ্যদোষে এখন তাহাদিগকে ইহাও দেখিতে হইবে, যে, তাছাদের বংশজাত। এক জন উত্তরাধিকারিণী, ষে রাজ্যের অধিরাজ অবিচার পূর্বক তাহদের আধিপত্য মোচন করিয়া অপহৃত রাজ্য সকল আপনার সাম্রাজ্যের অধীন করিয়া লইয়াছেন, এখন সেই রাজ্যে গিয়। কেবল ভিক্ষাদ্বারাই দিনপাত করিয়া বেড়াইতেছে।” - এলিজিবেথ ঈষৎ অবনত ও বিস্মিত ভাবে উত্তর করিলেন, “ যখন এমন রাজশোণিত আমার শরীরে চালিত হইতেছে, যখন এমন রাজবংশে জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছি, এবং আমার পিতৃবংশ মাতৃবংশ উভয়ই যখন রাজমুকুট ধারণ করিয়াছেন, তখন আমি যে তাহাদের রংশীয় এবং