পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। السياع ولا কার, পলিত দীর্ঘশ্মশ্র বিশিষ্ট, গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়াই স্পৃিঙ্গরকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কহিতে লাগিলেন, “ মহাশয় ! আমি আপনকার গৃহে আসিয়া পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হইলাম। ইহাতে যে অমুল্য রত্ন দেদীপ্যমান রহিয়াছে, পরমেশ্বর করুন যেন ইহা নিরস্তরই মঙ্গলালয় হইয়া থাকে। সম্প্রতি সন্ধ্যাকাল উপস্থিতপ্রায় দেখিয়া আপনার আশ্রয় লইতে উপস্থিত হইলাম। অনুগ্রহ করিয়া অামাকে অদ্য রাত্রিটি যাপন করিবার জন্য আশ্রয় দিতে অনুমতি হউক ” - এলিজিবেথ শুনিবামাত্র সত্বর হইয়া বসিবার একখানি আসন আনিয়া দিলেন । অতিথি ব্যক্তি তাহাকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, “ ভদ্রে ! তুমি অন্প বয়সেই ধৰ্ম্মপথের পথিক হইয়াছ । যখন এ পদবীতে প্রথমে পদার্পণ করিয়াছ, তখনই তোমার নিকট অামাদিগের পরাভব স্বীকার করা হইয়াছে।” এই কথা কহিয়াই তিনি আসন পরিগ্রহ করিলেন এবং বসিয়াই শুনিতে পাইলেন যে ফেডোরা বাষ্পাকুল কণ্ঠে ও গদগদ স্বরে রোদন করিতেছেন। শুনিবামাত্র তিনি তাহাক জিজ্ঞাসা করিলেন, “ কেন মা! তুমি এত আৰ্ত্ত হইয়। রোদন করিতেছ? পরমেশ্বর তে তোমার সন্তানের প্রতি স্নেহ বিতরণ করিতে কিছুমাত্র জুটি করেন নাই এবং তোমার মত সুখভাগিনী গর্ভধারিনীও সচরাচর প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না, আর তোমার পুরস্কারস্বরূপ এ অনুকুল সন্ততিবিচ্ছেদ কিছু চিরকালের জন্য নহে। যদি চিরবিচ্ছেদ না হইল, তবে তোমার শোক তাপের বিষয় কি ? তোমার এই অম্পকালের জন্য সন্ততি বিচ্ছেদ কেবল ধৰ্ম্মেরই পুরস্কারমাত্র। পাপের. জন্য যাহায়ের সন্তানের চিরবিচ্ছেদ হয় তাহাদের ন্যায় ক্লেশকর নহে।” : *