পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ४ ९ এলিজিবেথ। পৰ্য্যন্ত বর্ণনা করিব। তিনি নিতান্ত অসভ্য জাতির মধ্যে থাকিয় তাহাদিগকে সভ্য করিয়া তুলিয়াছিলেন। সেই অদ্ভূত জাতির কৃষিকৰ্ম্ম কাহাকে বলে তাহার নামও অবগত ছিল না। সেই মহাত্মাই তাছাদিগকে একত্র করিয়া কৃষিকৰ্ম্মের প্রণালী শিক্ষা করান। যে সকল স্থান মরুভূমি ছিল, তাহার প্রভাবে এখন সে সমস্ত অত্যন্ত উর্বর এবং অসভেরা সভ্য ও সাধু হইয়। উঠিয়াছে। যে সকল বংশে পতি, পুত্ৰ, পত্নী প্রভৃতির কাহাকে কি বলে তাহ কিছুই জানিত না, তাহাদিগকেই তিনি কৃতজ্ঞতার সহিত পরমেশ্বরে মনোনিবেশ করিতে শিখাইয়াছিলেন। ফলে যে সমস্ত স্থানে যে যে শুভ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহ সেই প্রাচীন মহাপুরুষেরই পরিশ্রমের ফল । দেখ, সেই মহাত্মার উপদেশের কি পৰ্য্যস্ত মহিমা ! ঐ সকল ব্যক্তি এখন আর ধৰ্ম্মপরায়ণদিগের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে না, এখন আর তাহাদিগের অবলম্বিত ধৰ্ম্মকে কঠিন ও নিম্প্রয়োজন বলিয়া অগ্রাহ্য করে না, এবং এখন আর এমন কথাটি মুখেও আনে না ষে, ধৰ্ম্মঘোষকের কেবল স্বার্থপর হইয়াই লোকদিগের প্রতি দয়া বিতরণের ভাণ প্রকাশ করিয়া থাকেন । কিন্তু ধৰ্ম্মপ্রচারক মহাশয়েরা যে কোন অংশে স্বার্থপর নহেন, এ কথা বলাও বড় সহজ ব্যাপার নয়। তাহারা কি মনুষ্যজাতির কুশলের উদেশে প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া উৎকৃষ্ট ফলভাগী হইতে চাহেন না ? জগৎপিতা পরমেশ্বরকে প্রীত ও সন্তুষ্ট করা কি তাহাদের অভীষ্ট নছে ? স্বর্গসুখ সম্ভোগে কি তাহাদের বাসনা হয় না? সূক্ষ্মরূপে বিবেচনা করিতে হইলে দিগ্বিজয়ী অধিরাজদিগের বাসনাও তাহাদের তুল্য সমুন্নত নহে। অধিরাজের কেবল লৌকিক প্রতিপত্তিকেই যথেষ্ট জ্ঞান করিয়া সন্তুষ্ট থাকেন, এবং