পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । চৈস্টা করিয়াছিল, কিন্তু কিছুতেই কিছু ফল দশে নাই। সকল উদূযোগ ও সকল কৌশল ক্রমশঃ হ্রাস হইয়া পড়িল। তাহাদিগকে সচরাচর - দেখিতে পাওয়া যাইত না এই বলিয় তাহ দের বিষয় ও কথা কাহার মনেও থাকিত না | যদি কখন কোন শিকারী শিকার করিতে আসিত, এবং সেই হ্রদের নিকটস্থ হতে “কুটীরে কে আছ” বলিয়া জিজ্ঞাসা করিত, তহু হু ইলে তাহার। “ আমরা এখানে তিন জন হতভাগা নিৰ্ব্বাসিত হইয়। রহিয়াছি’’ বলিয়া উত্তর করিত। শিক রী ব্যক্তি সেই কথায় অতিশয় দুঃখ প্রকাশ করিয়া ব্যগ্রতার সহিত পরমেশ্বরের নিকট এই বলিয়া প্রার্থনা করি ত যে “ হে অনাথনাথ দয়াময় জগদীশ ! আপনি কৃপা করিয়া এই কয়েক জনকে স্বদেশে উপনীত এবং বন্ধু বান্ধবের সহিত মিলিত করুন ’ পিটর স্পিন্সর যে কুটীরে থাকিতেন, তাহ তিনি তক্ত নিয়। স্বহস্তে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন এবং ছাদ খড় ও তৃণসমুহে আচ্ছন্ন হু ইয়াছিল। নিকটবর্তি হ্রদের বন্যা ও শীতকালীন উত্তরদিকের বাতাস এই উভয় হইতে নিস্তার পাইবার জন্য, কুটীরের চতুৰ্দ্দিকে রশীকৃত পাষাণখণ্ড একত্ৰিত করিয়া, ভিত্তির মত রচনা করিয়া দিয়াছিলেন। নিজ হ্রদের দক্ষিণেই এক অনাবৃত অতি প্রশস্ত প্রান্তর আছে। তন্মধ্যে স্তনে স্থানে অতি বিরল জঙ্গল । জঙ্গলের পর ক্রমাগত কতক দূর পর্যন্ত কেবল শবসমুছের সমাধিতে পরিপূর্ণ। ঐ সকল সমাধির অধিকাংশ চোরগণ কর্তৃক লুটিত ও তন্মধ্যস্থ শবসমুহের অস্থি সকল ইতস্ততঃ বিস্তৃত। দেখিলেই বোধ হয়, তাহার। অতি প্রাচীন কালের লোক । তাহাদের অঙ্গের স্বর্ণ ও রত্নালঙ্কার লইবার জন্য যদি চোরেরা এরূপ করিয়া সমাধি খনন না করিত, তাহা হইলে তাছাদের কথা আর কাহার ও স্বরণ পথে আসিবার সম্ভাবন