পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । 「めま○ প্রাণীপেক্ষ প্রিয়তর, ও যাহার মুল্য তাহাহইতেও অধিকতর বিবেচনা করিয়া থাকি, তাহ। আমি অমান বদনেই । আপনার হস্তে সমপণ করিতে বিশ্বাস করিতেছি। এক্ষণে উভয়ে একত্র হইয়া শুভযাত্রা করিতে আজ্ঞা হউক। বিশ্বপাতার নিকটে প্রার্থনা করিতেছি, তিনি সহস্ৰ সহস্ৰ স্বগণ প্রেরণ করিয়া আপনাদের উভয়কে রক্ষা করিবেন। সমস্ত ঐশ্বরী সেনা অামার এলিজিবেথকে রক্ষা করিতে । অবশ্যই অস্ত্ৰ শস্ত্র ধারণ করবেন। ইহার, পুৰ্ব্বপুরুষদিগের নাম ও কীৰ্ত্তি উত্তেজিত হইয়া সম্পূর্ণরূপে উজ্জ্বল হইয়া । উঠিবেক । এবং সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর ইহার রক্ষণাবেক্ষণে যত্নবান হইবেন। এবং যাহাতে ইহার বিনাশ না হয় তাহা করিতে কিছু মাত্র অবহেলা করিবেন না।” । বীরপ্রধান এলিজিবেথ, আর পিতার প্রতি দৃষ্টিপাত । না করিয়া এক হস্ত চক্ষুদ্বয়ে স্থাপন ও অপর হস্তে ধৰ্ম্মপ্রবক্তা মহাশয়ের হস্ত ধারণ করিয়া তাহার সঙ্গিনী হইয়া প্রস্থান করিলেন। এ দিকে প্রাতঃকালে সুর্য্য উদয় হইতেছে। তরুণ অরুণ আভায় পৰ্ব্বতের শিখর সকল শোভা পাইতেছে। ঘোর কৃষ্ণবর্ণ উচ্চতর দেবদারু তরুবরের অগ্রভাগ সকল বোধ হইতে লাগিল যেন সে সমস্ত স্বর্ণবণে । বিভূষিত হইতেছে। কিন্তু সৰ্ব্বত্র সকল বস্তুই শান্ত। বায়ুর গমনাগমন না থাকতে হ্রদ সকল নিস্তরঙ্গ ও নিরাকুল হইয়। স্থির হুইয়া রহিয়াছে। পক্ষী সকল শ্রবণ মনোহর ও অতি সুমধুর ধ্বনি করিতে বিরত রহিয়াছে। অতি ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গের শব্দও শুনিতে পাওয়া যাইতেছে না। দেখিলেই বোধ হয় যেন প্রকৃতিজাত বস্তুমাত্রেই মৌনভাব অবলম্বন করিয়াছে। এবং সমুদায় বনভূমিই যেন সেই সন্ততি-, বৎসল জনকের অার্ভ স্বরের প্রতিধ্বনিতে, পরিপুরিত । হইতেছে। • и 2