পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** & এলিজিবেথ। । - “༣ এলিজিবেথ পরে যখন ইউরোপ খণ্ডে প্রথমে পদার্পণ করেন তখনও আবার তাহার অন্তঃকরণে এই রূপ ভাবের উদয় হইয়াছিল। কারণ, তাহার মনে মনে এমনি বোধ হইল যে তিনি পৃথিবীর যে অংশহইতে যে প্রদেশে গমন করিতেছেন, তাহা যাহার পর নাই দূর এবং বিস্তারশালী। র্যাহারা তাহার কেবল প্রতিপালক ও অভিভাবক এবং আজন্মরক্ষাকারী, আর বস্তুতঃ র্যাহারা ভিন্ন তাহার আর কেহই ছিল না, তাহারা সকলেই এসিয়া খণ্ডে রহি- . লেন। এক্ষণে তিনি কোন অাশয়ে ইউরোপ খণ্ডে গমন করিতেছেন এবং কোন ব্যক্তিই বা তাহার প্রতি মুখ তুলিয়। চাহিবেন ? ইউরোপের স্থানে স্থানে, বিশেষতঃ তথাকার রাজসভায় মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত সকল বর্তমান আছেন এবং অপর্য্যাপ্ত ঐশ্বৰ্য্যশালী ব্যক্তিরও অসস্তাব নাই। সুতরাং তাঁহাদের নিকট যে তিনি সহস। সমাদৃত হইতে পারিবেন তাহার সম্ভাবনাই বা কি ? যদি একান্তই তাহার সৌভাগ্য প্রসন্ন হইয়৷ থাকে, তবেই তিনি যাহাদ্বার। উপকৃত হইতে পারিবেন এবং যিনি তাহার দুঃখে নিতান্ত দুঃখ বোধ করিয়া থাকেন, তাহার সহিত তথায় অবশ্যই সাক্ষাৎ হইতে পারে। দেখ কি দুঃখের বিষয় ! এলিজিবেথ ভুলিয়াও এক বার মনে করিতে পারিলেন না যে, পিটসবগে যুবক স্মোল: ফের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইবেক । তিনি জানিতেন যে অধিরাজের আদেশে তাহার লিবোনিয়া দেশের সেনাসংক্রান্ত কোন কৰ্ম্ম হইয়াছে।-তিনি সেখানেই আছেন। সুতরাং স্বদেশে আইলেও তাছার সেই মাত্র পরিচিত ব্যক্তির সহিত তথায় সাক্ষাৎ হওয়া নিতান্ত অসম্ভব । তিনি এক্ষণে বিবেচনা করিয়া দেখিলেন যে সেই মহাত্মা" ধৰ্ম্মপিত যাবজ্জীবন কেবল পরের উপকার করিবার উদে