পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ এলিঞ্জিবেথ به سوه لا চলৎশক্তি বিহীন হইয়া পড়িয়াছিলেন । পথ চলিবার সময়ে স্বয়ং যষ্টি ধারণ করিতেন এবং এলিজিবেথও তাহাকে ধরিয়া অভ্যানিতেন, তথাপি তাহার কিঞ্চিৎ দর 6, চলা অত্যন্ত ভার ও দুষ্কর বোধ হইত। দুই চারি পদ গমন করিলেই বিশ্রাম না করিয়া থাকিতে পারিতেন না । জলার মধ্যে কখন গাড়ীতেও যাওয়া হইত, কিন্তু সে সমস্ত পথ এমনি কদৰ্য্য ও দুর্গম যে সেরূপ অসুস্থ শরীরে তাহার ক্লেশের আর সীমা পরিশেষ থাকিত না । তিনি মনকে এমনি দৃঢ় ও বশীভূত করিয়াছিলেন, যে এ সমস্ত দুরন্ত ক্লেশেও তাহা বিচলিত হইত না । এত আপদেও তাছাকে ক্ষণ কালের জন্য হতাশ করিয়া ক্ষেলিতে পারে নাই । যাহা হউক, তাহারা অতিশয় কষ্টে কণমা নদীর নিকটস্থ সারাপুল গ্রামে আসিয়া উপস্থিত হইলে এলিজিবেথের প্রতীতি হুইল যে ধৰ্ম্মবক্তা মহাশয় নিতান্তই অচল হইয়া পড়িয়াছেন। আর যে পুনৰ্ব্বার তিনি পথ চলিতে সমর্থ হইবেন সে অাশায় এককালেই জলাঞ্জলি পড়িয়াছে। অনন্তর মনোনীত বাসার জন্য অনেক অনুসন্ধান করিলেন, কিন্তু কোন মতেই তাহ পাইয়া উঠিলেন না। অবশেষে তৎপ্রদেশের প্রধান কৰ্ম্মচারীর বাসার নিকট এক জীর্ণ ও কদৰ্য্য পাস্থশালাতেই তাছ কে থাকিতে হইল । ঘরখানির অবস্থা দেখিবামাত্র এলিজিবেথ অতিশয় বিমর্ষ হইলেন । ভিতরে প্রবেশিয়া দেখিলেন, কতকগুলি খড় ও শুষ্ক তৃণ বিছান একখানি জীর্ণতম তক্তাপোশ পড়িয়। আছে এই মাত্র। ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়কে সেই রূপ অসুস্থ শরীর লইয়। তাহাতেই শয়ন করিয়া থাকিতে হইল। একে তৈা ষাতনায়,সুনিদ্র হইবার সম্ভাবনাই ছিল না,তাহাতে জাবার সেই গুহের অনাবৃত গবাক্ষ দিয়া বাতাসু আসাতে g