পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ এলিজিবেথ। । এবং যে শয্যায় শয়ন করিয়াছিলেন তাহাহইতেও আর উকিতে হইবেক এমত সম্ভাবনাও ছিল না । ধৰ্ম্মপিতা মহাশয় ক্রমাগত ষাটি বৎসর কাল কেবল ঈশ্বরের কার্য্যেই তৎপর থাকিয়া কালক্ষেপ করিয়াছিলেন, এজন্য তিনি মরণে কিছু মাত্র আর ক্ৰক্ষেপ করিলেন না। কিন্তু তাছার প্রধান অক্ষেপের বিষয় এই যে তিনি যে কার্য্যে হস্তাপর্ণ করিয়াছিলেন, তাছ। সুসমাহিত করিয়া তুলিবার অগ্রেই তাহাকে লোকান্তরে প্রস্থান করিতে হইল। তিনি অতি কাতর বাক্যে পরমেশ্বরকে সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ হে অন্তর্যামিন জগদীশ ! আপনি সুবিচারদ্বারা আমার প্রতি যে নির্দেশ করিয়াছেন, তাহা সম্যক প্রকারেই ভাল করা হইয়াছে, আমি আর সে বিষয়ে একটি কথামাত্র কহিতে চাহি না। কিন্তু আমার এক্ষণে বক্তব্য এই যে, যদি আমার এই অসহায় ও নিরুপায়। বালাকে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত সঙ্গে করিয়া লইয়া যাওয়া আপনার অভিমত হইত, তাহা হইলে বোধ করি আমার মরণ ও যাহার পর নাই সহজ বোধ হইতে পারিত।” ক্রমে ক্রমে রজনী উপস্থিত ও দিওঁ মণ্ডল অন্ধকারে অীচ্ছন্ন দেখিয়া এলিজিবেথ একটা মসাল প্রজ্বলিত করিলেন এবং সেই প্রিয়সুহৃদ্ধর ও অদ্বিতীয় সহচরের পদতলে যাইয়া উপবেশন করিলেন । এই রূপে রজনী প্রভাত হইলে এলিজিবেথ সেই মহাশয়ের জন্য কিঞ্চিৎ পানীয় দ্রব্য প্রস্তুত করিয়া আনিলেন। বিজ্ঞবর মহাশয় অনুভবদ্বারা বুঝিতে পারিলেন যে তাহার চরম কাল উপস্থিত হইয়াছে। লোকলীলা সম্বরণ করিতে আর বড় বিলম্ব নাই, মনে মনে এই রূপ স্থির করিয়। তিনি সেই শয্যাগত অবস্থাতেই t মস্তক কিঞ্চিৎ উন্নত করিয়া তাহার হস্ত হইতে সেই পান