পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ৩ ২ . এটি জিবেথ। । লেশ বিতরণে বিমূখ হইবেন না।” এই সকল প্রার্থন। করিবার সময়ে তাহাকে আকারদ্বারা বোধ হইতে লাগিল যেন তাহার অন্তঃকরণ করুণারসে নিতান্ত আৰ্দ্ৰ হইয়। উঠিয়াছে, এবং তিনি মনের সহিতই সেই রূপ কামনা করিতেছেন । পরে তিনি দেখিলেন ষে তাহার শোকসাগর ক্রমশঃ উদ্বেল হইয়াই উঠিতেছে, কিছুতেই শান্ত হইতেছে না। ইহাতে তিনি তাহাকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, “ বৎসে ! আমি তোমাকে পরমেশ্বরের ও তোমার জনক ও জননীর শপথ দিয়া কহিতেছি, তুমি এ অভিভূত ভাব পরিত্যাগ করিয়া সচেতন হও । এবং অামি যাহ। যাহা বলিতেছি, তাহ৷ মনোযোগ দিয়া শুন ।” মান্যবর ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের মুখ হইতে এই সকল বাক্য শ্রবণ করিয়া কম্পিত হৃদয় এলিজিবেথ করতলে আমগুরুজল মার্জন করিয়া তৎক্ষণাৎ তাহার প্রতি দষ্টিপাত করিলেন এবং প্রতিজ্ঞ করিয়া কহিলেন, “ আজ্ঞ করুন অামি মনোযোগ পুৰ্ব্বক শ্রবণ করিতেছি।” বৃদ্ধবর মহাশয় অবশিষ্ট শক্তির অবলম্বনে অতিশয় কষ্টে গাত্রোথান করিলেন এবং শয্যার পাশ্বস্থিত একখান। কাঠফলকে ঠেস দিয়া বসিলেন। ক্ষণকাল বিলম্বে শ্রান্তি দূর হইলে পর তিনি তাহাকে সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ বৎসে এলিজিবেথ ! পরমেশ্বরের ইচ্ছায় এখন এই দুর্গম পথের মধ্যে একাকিনী হইয়। তোমাকে ঘোরতর বিপদেই পড়িতে হইল। একে এই দুরন্ত দুঃসময় উপস্থিত হইতেছে তাহাতে তুমি বালিকা, সঙ্গে দ্বিতীয় ব্যক্তি সহায় নাই। পথিমধ্যে যে কত কষ্ট পাইতে হইবেক, তাছা বর্ণন করা দুঃসাধ্য। তম্ভিন্ন পথেয়ের অভাব জন্যও তোমাকে যথেষ্ট ক্লেশ পাইতে হইবেক । মনুষ্য কিছু চিরকাল সমান সৌভাগ্যে কালযা