পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। । * ○。 নাঞ্চলে বদন আচ্ছাদন করিয়া জানু পাতিয়া উপবেশন করিলেন এবং নিতান্ত ব্যাকুলিত ভাবে পরমেশ্বরের নিকট মুক্তকণ্ঠে এই বলিয়। প্রার্থনা করিতে লাগিলেন, “ হে করুণাকর অনাথনাথ জগদীশ্বর ! এই অকিঞ্চন। আশরণা দীন। বার বার আপনার চরণের শরণ লইতেছে । ইহার প্রতি । কৃপা বিতরণে কৃপণতা প্রকাশ করিবেন না ।” এই রূপ প্রার্থনার পর তিনি ** হ পিতঃ ! হা মাতঃ ! আপনার কোথায় রছিলেন। আপনাদের এ অভূাগিনী তনয় যে নিতান্ত নিরাশ্রয় হইয়৷ দুৰ্দ্দশাপন্ন ও বিপদসাগরে নিমগ্ন হইয়াছে, তাহা এক বার দেখিয়া যাউন ।” এই বলিয়। রোদন করিতে লাগিলেন । এ দিকে ধৰ্ম্মসঙ্গীত আরম্ভ হইল। শবও সমাধিস্থলে নীত করিবার জন্য খটার উপরি অারোপিত হইল। এলিজিবেথ নিতান্ত ক্ষীণ ও কাতর ছিলেন, তথাপি সেই পরম হিতৈষী আশ্রয়দাতার শবানুগমনে উদ্যত হইলেন। কাম। নদীর উত্তর ধারে একটা ক্ষুদ্র পাহাড় আছে। সারাপুলের লোকের। তাহারই প্রস্থ প্রদেশে শব সকল সমাহিত করিয়৷ থাকেন। ঐ সমাধিস্থল রাজধানীহইতে বড় অধিক দূরবৰ্ত্তী নয়। ইহার চতুৰ্দ্দিক সুচারুরূপে আবৃত। মধ্যভাগ মন্ত্রপাঠার্থে তরুচ্ছায়ায় সমাচ্ছন্ন এবং শবসমূহের সমাধিমণ্ডলে মণ্ডিত। আর ঐ সকল সমাধির প্রত্যেকের মৃত্তিকারাশির উপর এক এক দারুময় ক্রুশ অর্থাৎ ঢেরা যন্ত্র অবস্থাপিত আছে। * . . সেই মহাত্মা ধৰ্ম্মপিতা মহাশয়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময়ে তদেশস্থ অসঙ্খ্যেয় লোকের সমারোহ হইল। পারসী, ভুরকী, আরবী প্রভূতি নানা জাতীয় সম্ভ্রান্ত মনুষ্যগর ,এক এক জ্বলন্ত বাতী হস্তে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । অনন্তর সকলেই সেই সাধুশীলের শবের উপরি পরম