এলিfঞ্জবেথ। * @ 3 হইল, সে ব্যক্তি তাহা অার তাহার নিকট হইতে গ্রহণ করিলেন না । সুতরাং তখন সে টাকাটি তাছাকে ভাস্কাইতে হইল না । এলিজিবেথ তখন এমনি কষ্টে পড়িয়াছিলেন, যে তাহার পরিধেয় বস্ত্র, গাত্রবস্ত্র, শিরস্ত্রাণ, করত্ৰাণ, পাদক্রণ প্রভূতি পরিচ্ছদের কিছুমাত্রই ছিল না। এককালে সমস্তই জীর্ণ ও ছিন্ন হইয়া গিয়াছিল। এ দিকে অতি দুঃসহ শীতকাল উপস্থিত। নভোমণ্ডল সতত কুজৰাটিকায় আচ্ছন্ন রহিতেছে। দিন দিন অধিক হিমানী পড়িতে আরম্ভ হইতেছে। ভূমিপৃষ্ঠে প্রায় দেড় হাত উচ্চ কিমানী জমিয়া গিয়াছে। কখন কখন ভূমিতে পতিত হইবার পূৰ্বেই শূন্যমার্গে ঐ হিমানী জমিয়। পড়িতেছে। তৎকালে নিবিড় কুজঝটিকায় আচ্ছন্ন হওয়াতে আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের মধ্যে কোন ইতর বিশেষই করিতে পার। ষায় না। কখন কখন বৃষ্টির জন্যও তাঙ্কার পথ চলা ভার হইয়া উঠিতেছে । অ৷র মধ্যে মধ্যে প্রবল ঝড়ের বেগেও তাঙ্গার গমনের ব্যাঘাত জন্মিতেছে। একদ। এমনি ভয়ানক ঝটিকা উপস্থিত হইল যে তিনি তাহার বেগহইতে পরিত্রাণ পাইবার জন্য সেই হিমশিল কাটিয়৷ একটি গর্ভ প্রস্তুত করিলেন, এবং তৎক্ষণাৎ দেবদারু বৃক্ষের ছাল লইয়। একটি শিরস্ত্রাণ নিৰ্ম্মাণ করিয়া আপনার মস্তক আবৃত করিয়৷ সেই গৰ্ত্তমধ্যে প্রবেশিয়া প্রাণরক্ষা করিলেন। এলিজিবেথের সাই বিরিয়ায় থাকিতে এই রূপ শিরস্ত্রাণে মাথা ঢাকিয় আত্মরক্ষা করা বিলক্ষণ অভ্যাস ছিল । অার এক দিন এই রূপ ভয়ানক ঝড় হইতেছে এবং দিজুগুল মেঘসমূহে অচ্ছন্ন হইয়া রছিয়াছে, এমন সময়ে ছিমানী সকল প্রচণ্ড বযুবেগে উৎক্ষিপ্ত হইতে অগ্রস্তু ছইল। ক্রমে ক্রমে অন্ধকার এত নিবিড় ও ঘোরতর झ हे ग्री উঠিল, যে, কোন ক্রমেই পথ দেখিতে সমর্য হইলেন না।
