পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ । ৯ *5 G o চিন্তু করিতেছিলেন, সহস। এই সকল কথা শুনিতে গাছ ইয়। চমকিত হইয়া উঠিলেন এবং এলিজিবেথের প্রক্তি । দৃষ্টিপাত করিয়া অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হুইয়। জিজ্ঞাসার ছলে । কছিলেন, “ আহা! কি বলিলে ! তুমি এত দূর দেশহইতে একাকিনী এই দুরবস্থায় এমন ভয়ানক দুঃসময়ে পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে আসিয়াছ ? অাছ ! আমার কন্য। এখানে থাকিলেও সে এই রূপ করিতে পারিত। সে আমার নিকট হইতে অপসারিত হইয়াছে, আমি কোন স্থানে আনীত ও রক্ষিত হইয়াছি, সে ইহার কিছুই জানিতে পারে নাই। সুতরাং আমার নিমিত্ত তাহার রাজসমীপে কোন প্রার্থনা করিবার ও সম্ভাবনা নাই । আমি যে তাহাকে আর দেখিতে পাইব না, এই শোকেই আমার নিঃসন্দেহ প্রাণ নাশ হইবেক । ফলে পিতা হইয়। এমন । সন্তানের বিরহে কে কোথায় অধিক দিন বাচিয়া থাকিতে সমর্থ হয়।” । এলিজিবেথ সসম্ভ্রমে কঁপিতে কঁাপিতে কছিলেন, মহা শয় ! “ ভরসা করি, সন্তান দূরে থাকিতে পিতার পক্ষে কিছু কাল বাচিয়। থাকা অসম্ভব বোধ হয় না।” এই কথায় । সে অসুখী ব্যক্তি কহিলেন, “ যাহ। বলিতেছ সত্য বটে, কিন্তু আমার ভাগ্য তেমন নয়। যদি তেমন হইত, তৰে । আমি সেই কন্যাকে সংবাদ পাঠাইতে পারিতাম। সেও সংবাদ পাইয়। আমি জীবিতাবস্থায় আছি জানিতে পঞ্চ রিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিত। ফলে কন্যাকেও সন্দেহের যাতনা , আর ভোগ করিতে হইত না। বৎসে ! দুঃখের কথা কত কহিব ! কন্যার নিকট পাঠাইবার জন্য একখানি । পত্র লিখিয়া রাখিয়াছি। কেবল সঙ্গতির অভাবে তাহ{ পাঠাইতে সমর্থ হুইতেছি না । সে এখন রিগ্রাতে আছে, কলি এখানহইতে এক জন লোকও তথ্যয় যাইবে শুনিতে ।