পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬ এলিজিবেথ। । যে কেবল তাহার প্রীতি গ্রাহ করিয়া তাহারই প্রতিদান করিলেন তাহা নছে, কিন্তু আমরা এই শব্দদ্বার। পরস্পর এক আত্মা হইবেন, এবং যদি সৌভাগ্যক্রমে পরম সুখ স্বচ্ছন্দ ভোগ করা তাহার অদৃষ্টে থাকক, তাছা হইলে তিনি তাহাকে তাহারও অংশী করিবেন, ইহারই আভাসমাত্র ব্যক্ত করিলেন। স্মোলফও তদবধি মনে মনে এমন আশ। করিতে লাগিলেন যে, আমাদিগের এই অভাবনীয় মিলন ভবিষ্যতে অবশ্যই চিরস্থায়ী হইতে পারিবেক । মুক্তির আদেশ হুইবার পরে মুক্তিপত্র প্রস্তুত হইয়। অধিরাজের স্বাক্ষরিত হইতে কতিপয় দিবস অতীত ছয় । সেই অবকাশের মধ্যে ষ্টানিস্লাশের কোন অপরাধে সেই গুরুতর দণ্ড বিধান হইয়াছিল, তাহারও পুনৰ্ব্বার উত্থাপন ও আন্দোলন হইয়। বিচার হয় । মহামহিম অলিকজাণ্ডর পরীক্ষাদ্বারা নিশ্চিত বুঝিতে পারিলেন যে স্টানিস্লাশ ম্যায়বিচারে কেন মতেই আর নির্বাসিত থাকিবার উপযুক্ত হইতে পারেন না। কিন্তু এই বিচার করিয়৷ দেখিবার পুর্বেই তিনি তাহাকে যুক্ত করিবার আদেশ করিয়া যৎপরোনাস্তি দয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন। নিৰ্ব্বাসিতদিগকেও তাহার গুণে এমনি বদ্ধ হইতে হইল যে তাহারা যাবজ্জীবন তাহার সেই দয়। আর বিস্মৃত হইতে পারিলেন না। যুবক স্মোলফ প্রতিদিন রোজীর বাট যাইয়া এলিজিবেথের সহিত দেখা সাক্ষাৎ করিয়া আসিতেম। এক দিন অতি প্রত্যুষে তাহার নিকটে গিয়া, “এই দেখ তোমার পিতাকে মোচন করিয়া পাঠাইবার জন্য আমার পিতার উপরি অধিরাজের অনুমতি হইয়াছে,” বলিয়া অধিরাজের স্বাক্ষরিত ও মুদ্রিত একখানি অনুমতিপত্র দেখাইলেন। এলিজিবেথ মানন্দসাগরে মগ্ন হইয়। পত্ৰখানি গ্রহণ করিলেন, এবং বার বার ওষ্ঠাধরে চাপিয়া নয়নজলে অভিয়িক্ত