পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিঞ্জিবেথ । ९७ কিনী খানিক দূর পর্য্যন্ত আগিয়া যাই এবং পিতাকে দেন খিতে পাই কি না তত্ত্ব লইয়া আসি। ইহার পর অধিক অন্ধকার হইলে আর দেখিতে পাওয়া ভার হইবেক ।” ফেডোরা একটা দেবদারু গাছ ঠেস দিয়া বসিলেন। এলিজিবেথ শীঘ্র শীঘ্ৰ খানিক অগ্রে গমন করিলেন এবং অবিলম্বেই মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন। ঐ মাঠের মধ্যে কতকগুলা উচ্চ উচ্চ সমাজস্তম্ভ ছিল। এলিজিবেথ পিতার উদেশ ন পাওয়াতে সাতিশয় থিদ্যমান হুইয়া রোদন করিতে করিতে তাহার একটার উপরি অারোহণ করিলেন এবং পিতাকে দেখিতে পাইবার আশয়ে চতুৰ্দ্দিক নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন বটে, কিন্তু কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। সৰ্ব্ব স্থল এককালে নিস্তব্ধ হইয়া গিয়াছে। অার ক্রমশঃ অন্ধকার এমনি নিবিড় হইয়া উঠিয়াছে যে তাহার দৃষ্টিও আর অধিক দূরে যাইতে পারিল না । এই রূপে খানিক ক্ষণ দৃষ্টি দিয়া থাকিতে থাকিতে এলিজিবেথ শুনিতে পাইলেন, কিঞ্চিৎ দূরে একটা বন্দুকের শব্দ হইল ! ইতিপূৰ্ব্বে এককালে হতাশ হইয় পড়িয়াছিলেন, এক্ষণে সেই বন্দুকের শব্দে তাহার আশ। ভরসারও কিঞ্চিৎ সঞ্চার হইল। প্রিঙ্গরের বন্দুকে যে প্রকার শব্দ হইত, এলিজিবেথ তথায় আর কাহারও বন্দুকে তেমন শব্দ শুনেন নাই। এখন শব্দ শুনিবামাত্র বোধ করিলেন, ইহা অবশ্যই আমার পিতার বন্দুকের শব্দ, তাহাতে আর সন্দেহ নাই, এবং শব্দদ্বার। অনুভবও হইতেছে, তিনি বড় অধিক দূরে নাই। । মনে মনে ইহা ভাবিয়া এলিজিবেথ যে দিকহইতে শব্দ পাইয়াছিলেন সেই দিক দিয়াই স্তম্ভহইতে অবতরণ করিলেন। এবং অনতিদূরে পাহাড়ের পশ্চাৎ ভাগে দেখিতে পাইলেন, এক ব্যক্তি আস্তে আস্তে নত হইয়া যাইতেছে