পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ এলিজিবেথ। এখন এমন ভাবিলেও ভাবিতে পারেন যে আমি অতিশয় ব্যাকুল হইয়াছি, এজন্যই ইহারা আমাকে প্রবোধ বাক্যের দ্বার সান্তন করিতেছে,অথবা ইহাদের ইহ করাও কৰ্ত্তব্য, কিন্তু ফলে তাহ। নছে। ইহার। আমার বক্ষের শেল হইয়া রহিয়াছে। এবং শেল হইয়া ক্রমে ক্রমে সেই ক্ষতকে আরো বৃদ্ধি করিতেছে। ইহাদের গুণে আমাকে সন্তুষ্ট হইতে হয় বটে, কিন্তু সন্তুষ্ট হইব কি ? যখন অমার মনেতে উদয় হয় যে ইহারা এই বনমধ্যেই সমাহিত হইবেক, তখন ইছাদের সেই গুণ স্মরণ করিতে গেলে অামার আর আশা ভরসা কিছুই থাকে না, নৈরাশ্য সাগরে এককালেই মগ্ন হইতে হয়। আমার প্রাণাধিক প্রিয়তম। এলিজিবেথ কাহার জ্ঞাতসার বা প্রণয়ভাজন কিছুই হইল না, এবং যাহার গুণ প্রশংসা করিয়া শেষ করা যায় না, তাছার সেই গুণকে কেহ প্রশংসা করিতে পাইল নমঃ আমার এ দুঃখ কি কোথাও রাখিবার স্থান আছে, আপনার জ্বালায় আপনিই জ্বলিয়া মরিতেছি।” এই কথা শেষ হইতে না হইতেই এলিজিবেথ উত্তর করিলেন, “পিতঃ ! এ কি কথা কহিতেছ, যখন আমার বাপ, মা, দুই বর্তমান আছেন, তখন আমাকে ভাল বাসিবার কেহ নাই এ কথা কি রূপে সম্ভব হইল ?” স্পৃিঙ্গর এ কথায় আর শোক সম্বরণ করিতে পারিলেন না। পুনৰ্ব্বার কহিতে আরম্ভ করিলেন, “বাছা! তুমি অতি বালিকা, বুদ্ধির তাদৃশ পরিপাক হয় নাই। আমি এই বলিতেছি যে আমি যেমন তোমাছইতে সুখ স্বচ্ছন্দ ভোগ করিতেছি, তুমি তেমন করিতে পারিবে না। প্রিয়তম সন্তানে যে অস্ফুট শব্দে মা বলিয়। ডাকে তুমি সে অমৃতময় কথা কখনই শুনিতে পাইবে না। অর্থাৎ যাবজ্জীবন তোমাকে এই রূপ কুমারীভাবেই থাকিতে হইবে, প্রিয়তম পতির মিষ্ট কথায় যে অন্তঃ